শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ আগস্ট ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শোকাবহ আগস্টে মাসব্যাপী কমর্সূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়েছে ’কবিতা ও গানে বঙ্গবন্ধু’ অনুষ্ঠানমালা। আজ বুধবার ১৫ আগস্ট জাতির পিতার ৪৮ তম শাহাদাত বাষির্কী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের শুরুতেই কবিরা সকলে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
কথা ও কবিতায় শুরুতেই পরিবেশনা নিয়ে আসেন মঞ্চ সারথি ও কবি আতাউর রহমান। এর পরে কবি আসাদ মান্নান কবিতা পাঠ করেন ‘পিতা আজ আমাদের শাপ মুক্তি’। কবি শ্যাম সুন্দর শিকদার কবিতা ‘রক্তাক্ত সিঁড়ি’ পরিবেশন করেন । পরে পরিবেশিত হয় ’আমার পরিচয়’, কবিতায় কোরিওগ্রাফি করে রিদম, নৃত্যপরিচালনা করেন মেহরাব হক তুষার।
এরপরে ঢাকা সাংস্কৃতিক দল- ‘বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ বাংলার মোসলমান’ শিরোনামে সমবেত সংগীত পরিবেশন করে। স্বকন্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি নাসির আহমেদ। কবি শামসুর রহমানের কবিতা- ‘স্বাধীনতা শব্দটি কি করে আমাদের হলো’ নিয়ে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ- নৃত্যপরিচালনা করেছেন সাইফুল ইসলাম ইভান। সাজেদ আকবর রবীন্দ্র সঙ্গীত ’পথে চলে যেতে যেতে কোথা কোনখানে’, তোমার পরশ আসে কখন কে জানে-একক সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করেন ইয়াসমিন আলী- ‘মুজিবুর আছে বাংলার ঘরে ঘরে/কে বলে বঙ্গবন্ধু আজ তুমি নাই’। এর পরে সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়া প্রাণে, তোমার খোলা হাওয়া’।
সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতার হত্যাকান্ডের পরে এই কবি সাহিত্যকরাই তাদের শিল্পচর্চার মাধ্যমে পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে সাহায্য করেছিলেন। সাড়ে ৩ বছরে জাতির পিতাকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো তা নিয়ে খুব কমই আলোচনা হয়েছে।’
কবি নির্মলেন্দু গুণ ও মুহাম্মদ নুরুল হুদা, কবি ঝর্ণা রহমান, কবি আসাদুল্লাহ এবং কবি সালাউদ্দিন আহাম্মদ ও কবি রাসেল আশেকীও কবিতা পাঠ করেন ।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যদল পরিবেশন করে ’আজ যত যুদ্ধবাজ’ কোরিওগ্রাফি করেছেন মেহরাজ হক তুষার। নৃত্যালেখ্য ‘ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিনবছর’ পরিবেশন করে একাডেমির নৃত্যদল । নৃত্য পরিচালনা করেছেন স্নাতা মাহরীন। একক সংগীত পরিবেশন করেন তানিমা মুক্তি গমেজ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু নৃত্যদল- সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে- আমি ধন্য হয়েছি আমি পুন্য হয়েছি, কোরিওগ্রাফি করেছেন আরিফুল ইসলাম অর্ণব। এরপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশুসংগীত দল সমবেত সংগীত পরিবেশন করে - ধন্য মুজিব ধন্য, যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা।