শিরোনাম
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, (বাসস): ওয়েডিং ফটোগ্রাফার ইলিয়াস হোসাইন, ফটোগ্রাফির পাশাপাশি প্রকৃতির ছবি আঁকেন। কাজের ফাঁকে প্লাস্টিকের বোতলে নানা চিত্র ফুটিয়ে তুলছেন। প্রকৃতির নান্দনিক দৃশ্য ফুটে উঠেছে তার ভাড়া বাসার কাঁচের জানালায় ও প্লাস্টিকের বোতলে। বাসার জানালাগুলোকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।
কাঁচে ফুটেছে ফুল, প্লাস্টিকে উড়ছে পাখি। ঝরছে শ্রাবণের বারিধারা। কিংবা চাঁদের আলোর মোহনীয় রূপের দেখা মিলছে। পাল তুলে নৌকা চলছে। সূর্য ডুবে ঘনিয়ে আসছে সন্ধ্যা। বোতলগুলো টব ও শো-পিস হিসেবে ব্যবহার করছেন।
প্রতিবেশীরা ইলিয়াস হোসাইনের বাসার জানালায় আঁকা ছবি ও প্লাস্টিকের বোতলে করা কাজগুলো দেখতে আসেন। বাড়িওয়ালাও খুশি বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে।
ইলিয়াস জানান, তিনি নগরীর বজ্রপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। ওয়েডিং ফটোগ্রাফির পাশাপাশি প্রকৃতির ছবি তোলেন। ক্যামেরায় ছবি তোলার সঙ্গে তিনি প্রকৃতির ছবি হাতে আঁকতেও পছন্দ করেন। শখের বসে আঁকাআঁকি করেন। ছবি আঁকার পাশাপাশি তিনি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়ান। এ পর্যন্ত অসংখ্য ছবি এঁকেছেন। বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। ভাড়া বাসার জানালাগুলো পুরাতন হয়ে গেছে দেখে সেখানে প্রকৃতিকে তুলে ধরেন। প্লাস্টিকের বোতল কেটে বানিয়েছেন ফুলদানি, টব। টবের গায়েও ফুঠে উঠেছে নানা দৃশ্য। বাসার বারান্দায় সেগুলো বাতাসে দুলছে। বাসার মলিন দেয়ালেও তিনি রঙের তুলি ছুটান। টেবিল চেয়ারেও নানা আল্পনা। তার রঙের কাজে পরিবারের সদস্যরাও সহযোগিতা করেন। তিনি আরও জানান, তার আঁকাআঁকি নিয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তবে স্কেচের বিষয়ে শিল্পী মো. শাহীনের পরামর্শ নিয়েছেন।
কুমিল্লার চিত্রশিল্পী সামিউল আলম জাহেদ বলেন, তিনি নিজে ক্যানভাসের পাশাপাশি চকে কাজ করেছেন। বিভিন্ন মনীষীর ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। শিল্পীর কাজের কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যম নেই। মাটি, লতা, পাতা যেখানে খুশি শিল্পী তার কাজ ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
কুমিল্লা জেলা কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ বাসসকে বলেন, ইলিয়াস সৃজনশীল মানুষ। তার ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। তার ছবি তোলার সুন্দর চোখ আছে। তার আঁকা ছবিগুলোও সুন্দর।