বাসস
  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:১১
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে হয়ে গেলো ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জেলার তিতাস নদীতে আজ হয়ে গেলো গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। শিমরাইলকান্দি গাঁও থেকে মেড্ডার শিশু পরিবার এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা।
তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের কাছ এক প্রাণের উৎসব। বৃহষ্পতিবার পড়ন্ত বিকেলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই নৌকা বাইচ দেখতে ভিড় করেন লাখো দর্শক। চমৎকার এই বাইচ দেখে দারুণ খুশি তারা। বছর ঘুরে আবারও ছলাৎ-ছলাৎ শব্দে গর্জে উঠলো তিতাস তীরে সুন্দইরা মাঝির বৈঠা। উৎসবে মাতোয়ারা তিতাস নদীর তীর। নৌকা বাইচ উপলক্ষে শহর জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। ভাদ্র মাসের তপ্ত দুপুর গড়ানোর আগেই জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছোট-বড় নৌকা নিয়ে উৎসাহী দর্শকরা তিতাস নদীর দুই পাড়ে হাজির হতে থাকেন। ভরা তিতাসের বুকে বাহারী নৌকার নাও দৌড়ানী তিতাস পাড়ের মানুষজনকে নিয়ে চলে এক অন্য রকম আনন্দলোকে।
এবার ১৫টি দল প্রতিযোগী দল তাদের সুসজ্জিত নৌকা আর রঙ-বেরঙের বাহারি পোশাক পরে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা চলার সময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়ালী গান।
প্রধান অতিথি হিসেবে নৌকা বাইচের উদ্বোধন ও পুরষ্কার বিতরণ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এই সময় জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে নবীনগর উপজেলা নৌকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সরাইল উপজেলা নৌকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে আশুগঞ্জ উপজেলার নৌকা। পরে মেড্ডার কালাগাজীর মাজার এলাকায় পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন কারীকে ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৩০ হাজার টাকা এবং ট্রফি প্রদান করেন। এছাড়াও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী প্রত্যেক দলকে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা চলার সময় শিমরাইলকান্দি গাঁও গ্রাম এলাকা থেকে মেড্ডা শিশু পরিবার এলাকা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০টি মোবাইল কোর্ট টিমসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আনসার ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, নৌ-পুলিশ, ডুবুরীদল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টিম কয়েকটি টিম নিয়োজিত ছিল। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য আকাশে উড়ানো হয় ড্রোন।