শিরোনাম
পটুয়াখালী, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): গঙ্গাস্নান বা পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে জেলার কুয়াকাটায় শেষ হয়েছে রাস উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সোমবার ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে জাগতিক সকল পাপ মোচনের আশায় সৈকতের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে এ গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেন হিন্দুধর্মালম্বীরা।
প্রায় দুইশ বছর ধরে প্রতিবছর পূর্ণিমার তিথিতে এ অঞ্চলে রাসমেলা আয়োজন করা হয়। এ মেলায় হিন্দু পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের কুয়াকাটায় আগমন ঘটেছে। রাসমেলা ও সৈকতে পুণ্যস্নানকে ঘিরে কুয়াকাটা রাস উদযাপন কমিটিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ভক্তদের জাগতিক পাপ ও রোগমুক্তির আশায় সমুদ্রস্নান ও পূজা অর্চনা আর প্রতিমা দর্শনে পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটেছে কুয়াকাটায়।
দেখা গেছে, স্নানের আগে সৈকতে মোমবাতি, আগরবাতি, বেলপাতা, ফুল, ধান, দুর্বা, হরিতকী, ডাব, কলা, তেল ও সিঁদুর সমুদ্রে জলে অর্পন করে সনাতনী নারীরা। এসময় উলুধ্বনি ও মন্ত্রোপাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সৈকত। এছাড়া মাথা ন্যাড়াসহ প্রায়শ্চিত্ত ও পিন্ডদান করেন অনেক মানতকারীরা। পরে ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা দর্শন করেন হিন্দুধর্মালম্বীরা।
কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাঁধা-কৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন মন্ডল বলেন, প্রায় ২০০ বছরের আগে থেকেই এ রাস পূজা ও রাস উৎসব উদযাপন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গঙ্গাস্নান বা পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে রাস পূজা শেষ হয়েছে।
রাসমেলা উপলক্ষে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সাদা পোশাকে পুলিশ-র্যাব সদস্যরা অবস্থান করছিল। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।