শিরোনাম
ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ পিঠাকে জাতীয় পর্যায়ে আরো প্রসারিত ও জনপ্রিয় করতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের ৬৪ জেলায় জাতীয় পিঠা উৎসবের আয়োজন করছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এই আয়োজনে দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় একযোগে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় অঞ্চল ভিত্তিক পিঠাশিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন।
আজ সোমবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘মাছে ভাতে বাঙালি, ঐতিহ্যমন্ডিত পিঠাপুলি, রন্ধন আর পিঠার বাহারে শিল্পী আছে ঘরে ঘরে’ এই প্রতিপাদ্যে জাতীয় পিঠা উৎসব হচ্ছে। পিঠাশিল্পীদের উৎসাহ দিতে এবার উৎসবে খানিকটা ভিন্নতা যোগ করা হয়েছে। যারা পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে পরিবারের জন্য পিঠা তৈরী করেন এবং লুপ্ত প্রায় পিঠাকে বংশ পরম্পরায় ধরে রেখেছেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন ২ জন করে শিল্পী পিঠা উৎসবে একটি স্টলে একদিন অংশগ্রহণ করবেন এবং মূল্যায়ন কমিটি পিঠার গুণমান, ভিন্নতা এবং স্বাদ যাচাই করে নম্বর প্রদান করবেন। তার মাধ্যমেই ১ম, ২য় এবং ৩য় জন পুরস্কৃত হবেন। এবার পিঠা উৎসবে ৫০ টির অধিক স্টল অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সনদ প্রদান করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ এবং সম্মানিত অতিথি থাকবেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করবেন সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করবেন লেখক ও গবেষক বাশার খান।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, গ্রামীণ পর্যায় থেকে পিঠাশিল্পীদের তুলে আনার চেষ্টা করছি। জাতীয় পর্যায়ে বড় পরিসরে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করছি। কারণ পরিবারের সদস্যদের জন্য ঘরে ঘরে আমাদের মায়েরা যতœ করে যে পিঠা তৈরী করেন লোকজ সেই আদি পিঠাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই আমরা।