শিরোনাম
ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): অমর একুশে বইমেলার সপ্তম দিনে গল্প ১০ টি,উপন্যাস ১৫ টি, প্রবন্ধ ৬ টি,কবিতা ১৫ টি,শিশুসাহিত্য ৫ টি,জীবনী ৩ টি ও অন্যান্য ৩ টি সহ মোট নতুন বই এসেছে ৬৯টি।
আজ বুধবার বিকেল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় গোবিন্দ চন্দ্র দেব’শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জয়দুল হোসেন এবং সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক।
প্রাবন্ধিক বলেন,ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব নানা অভিধায় অভিহিত ছিলেন। তিনি একদিকে ছিলেন অনন্য চিন্তক, দর্শনের অধ্যাপক, সর্বজনীন প্রেম ও প্রজ্ঞার এক বিরল ব্যক্তিত্ব, সর্বোপরি একজন উঁচুস্তরের মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ।
তিনি বলেন, গোবিন্দ্র চন্দ্রের চিন্তার পরিসর ছিল সর্বব্যাপী, তা ছিল মানবতা ও বিশ্বপ্রেম-রসে জারিত। তার দর্শনচিন্তা তত্ত্বের কঠোর আবরণ থেকে বেরিয়ে এসে ব্যাবহারিক জীবনে উদ্ভাসিত, প্রেম-রসে নিমজ্জিত যাতে অবগাহন করা যায় স্বচ্ছন্দে, নির্দ্বিধায়।
তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন যে আমাদের জ্ঞানের পরিধি আরো সম্প্রসারিত করে বিশ্বপ্রেমে আবৃত করতে হবে, আর তাহলেই সেই জ্ঞান মানুষের হৃদয়তন্ত্রীতে বেজে উঠবে, তার মর্মে ও কর্মে প্রকাশ পাবে।
আলোচকবৃন্দ বলেন, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ছিলেন বিরল প্রতিভার অধিকারী মানবতাবাদী একজন দার্শনিক। তিনি সারা জীবন সাধারণ মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা ও অধিকারের কথাই ভেবেছেন। ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে সবধর্ম সমন্বয়ী সমাজ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছেন এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টাও করেছেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত গোবিন্দ চন্দ্র দেব মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে গেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব একজন স্মরণীয় বাঙালি। যুক্তি, বুদ্ধি, বিবেক ও গভীর দার্শনিক দৃষ্টি দিয়ে জীবন ও জগতকে প্রত্যক্ষণ করেছেন তিনি। তাঁর জীবন, কর্ম ও দর্শন তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার ইসহাক খান, প্রাবন্ধিক ও গবেষক মিল্টন বিশ্বাস, শিশুসাহিত্যিক সারওয়ার-উল ইসলাম এবং কবি মেঘ অদিতি ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি বিমল গুহ, শিহাব সরকার এবং টোকন ঠাকুর। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, কাজী মাহতাব সুমন এবং অনন্যা লাবণী। পুথি পাঠ করেন জালাল খান ইউসুফী।
এছাড়াও নূরননবী শান্তের পরিচালনায় ‘ভাবনগর ফাউন্ডেশন’ পরিবেশিত চর্যাপদের গান এবং মো. সাকিবুল ইসলামের পরিচালনায় নৃত্যসংগঠন ‘মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি একাডেমী’র পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী সুমন চৌধুরী, শাহনাজ নাসরীন ইলা, ডা. মকবুল হোসেন, অরূপ বিশ্বাস, করবী দাস, ¯িœগ্ধা অধিকারী, নূরতাজ পারভীন এবং জান্নাত-এ-ফেরদৌসী। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন এনামুল হক ওমর (তবলা), মো. নূর এ আলম (কী-বোর্ড), অসিত বিশ্বাস (এসরাজ) এবং নাজমুল আলম খান (মন্দিরা)।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার অমর একুশে বইমেলার অষ্টম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩ টায় এবং চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত।
বিকেল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ : আহমদ শরীফ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রাজীব সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মোরশেদ শফিউল হাসান এবং আফজালুল বাসার। অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ।