শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ মে, ২০২৩ (বাসস): সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ এমপি বলেছেন, নির্মাণাধীন গণগ্রন্থাগার ভবন হবে আধুনিক স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন। ভবনটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এর গ্রন্থাগারটি হবে পরিবেশবান্ধব জায়গায় বসে জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। আর গ্রন্থাগার হলো সভ্যতা-সংস্কৃতির সূতিকাগার। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
আজ বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনস্থ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে অধিদপ্তর আয়োজিত সাপ্তাহিক 'বিশেষ লার্নিং সেশন' শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কে. এম. খালিদ আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই নাতিদীর্ঘ সময়ে রাষ্ট্রের এমন কোনো সেক্টর নেই, যার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু হাত দেননি। তিনি প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রেখেছেন। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের আইন তিনি এসময়ে প্রণয়ন করেছেন। বর্তমানে সময়ে এসে সেগুলোকে শুধু যুগোপযোগী করা হয়েছে মাত্র।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক মোছা: মরিয়ম বেগম।
লার্নিং সেশনের এ সপ্তাহের বিষয় 'খাদ্য ও পুষ্টি এবং আমাদের স্বাস্থ্য।' বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক পরিচালক বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ড. মনিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, লাইব্রেরি ব্যবহারকারীদেরকে উৎসাহিত করতে এবং পাঠকদেরকে জ্ঞান অর্জনে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও শিক্ষামূলক বিষয়ের উপর 'বিশেষ লার্নিং সেশন' এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি রবিবার সাপ্তাহিক সেশন অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী ও বরেণ্য ব্যক্তিগণ নির্ধারিত সেশনসমূহ পরিচালনা করবেন।