বাসস
  ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৪১

এএফপি’র দুই গাজা যুদ্ধের সংবাদদাতা পুরস্কৃত

ঢাকা, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নৃশংস যুদ্ধের ‘শক্তিশালী’ ভিডিও কভারেজের জন্য বৃহস্পতিবার ‘ররি পেক’ পুরস্কার জিতেছেন গাজায় এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেস (এএফপি)-এর সংবাদদাতা বেলাল আলসাব্বাগ ও  ইউসেফ হাসসুনা। লন্ডন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ফ্রিল্যান্স ভিডিও সাংবাদিকদের কাজ তুলে ধরার জন্য আইরিশ ভিডিও সাংবাদিক ‘ররি পেক’ (১৯৫৬-১৯৯৩) এর স্মরণে ১৯৯৫ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালের রাশিয়ান সাংবিধানিক সংকট কভার করার সময় মস্কোর এক টিভি সেন্টারের বাইরে ররিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। 

৭ই অক্টোবরের হামাসের হামলা ও ইসরাইলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার পর, এএফপি’র সবচেয়ে অভিজ্ঞ বেলাল আল-সাব্বাগ (৩৩) এবং এএফপি’র জন্য অবদান রাখা ফ্রিল্যান্সার ইউসেফ হাসসুনাকে (৪৭) যুদ্ধের চিত্র সংগ্রহের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।

পুরস্কারের জুরি তাদের প্রশংসা করে বলেন,‘তাদের ড্রোন শটগুলোতে অবিরাম আক্রমণে ধ্বংসের ভয়ঙ্কর মাত্রা অনুধাবন করতে পেরেছি।’ হৃদয় বিদারক ভিডিও চিত্রের একটিতে হামলার পরে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে এক আত্মীয়কে মরিয়াভাবে খুঁজতে দেখা যায়, আরেকটিতে হাসপাতালে এক লাশের জন্য শোকে এক নারীকে কাঁদতে দেখা যায়। আরেক দৃশ্যে গাজার বাসিন্দাদের খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

আলসাববাগ এপ্রিলে তার স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে গাজা ছাড়েন। তিনি অনুষ্ঠানের জন্য লন্ডনে ছিলেন। সেপ্টেম্বরে তিনি যুদ্ধ সংবাদদাতাদের এক মর্যাদাপূর্ণ ‘বেইয়া ক্যালভাডোস’ পুরস্কারে ভূষিত হন।

২০১৭ সাল থেকে এএফপি’র জন্য  কাজ করছেন বেলাল আলসাববাগ। তিনি বলেন, ‘আজ রাতে আমার উল্লসিত আনন্দ সত্ত্বেও, আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত কারণ আমার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা এখনও গাজায় রয়েছে। যারা এখোনো ক্ষুধা, ভয় ও  বোমার মুখোমুখি রয়েছে।’

হাসসুনা, ২০১৪ সাল থেকে এএফপি’র জন্য অবদান রেখে আসছেন। তিনি এখনও গাজায় অবস্থান করছেন। তিনি যুদ্ধের সময় এএফপি-এর জন্য কাজ করা প্রধান ফ্রিল্যান্স  ভিডিও সাংবাদিকদের একজন।

এএফপি’র গ্লোবাল নিউজ ডিরেক্টর ফিল চেটউইন্ড বলেন, ‘এএফপি-এর প্রত্যেকেই বেলাল এবং গাজায় তার সহকর্মীদের কাজের জন্য অত্যন্ত গর্বিত। আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব পরিস্থিতিতে তার চমৎকার সাংবাদিকতার জন্য এই পুরস্কার তার একটি প্রাপ্য প্রতিদান।’ 

২০১৪ সালের পর ষষ্ঠবারের মতো একজন এএফপি সংবাদদাতা ররি পেক পুরস্কার জিতলেন।

এই বছরের তিনজন ফাইনালিস্টের মধ্যে ছিলেন হাইতিতে সশস্ত্র গ্যাং-এর গুলি চালানোর দৃশ্য কভারের জন্য নিয়োজিত এএফপি’র  ফ্রিল্যান্সার লুকেনসন জিন।