বাসস
  ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৩
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৫০

চট্টগ্রামকে বিদায় করে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো খুলনা

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো খুলনা বিভাগ। 

আজ টুর্নামেন্টের প্লে-অফে এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনা ৭ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রামকে। লিগ পর্বে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছিলো খুলনা। 

আগামীকাল দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে ঢাকা মেট্রোর মুখোমুখি হবে খুলনা। ঐ ম্যাচ জিতলেই ফাইনালে খেলবে রংপুর। আজ প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে রংপুর বিভাগের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে মেট্রো। প্রথম কোয়ালিফাইয়ার হেরে যাওয়ায় দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার খেলতে হবে মেট্রোকে। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম বলেই উইকেট হারায় খুলনা। ১টি বাউন্ডারিতে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন এনামুল হক। 

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ২৪ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন খুলনার আরেক ওপেনার আজিজুল হাকিম ও মোহাম্মদ মিথুন। দলের রান ৫০এ রেখে পঞ্চম ওভারে আউট হন আজিজুল। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৬ বলে ২০ রান করেন অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আজিজুল। 

ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে সাজঘরে ফিরেন ১টি করে চার-ছক্কা মারা মিথুন। চার নম্বরে নেমে ১৭ রানে রান আউট হন ইমরুল কায়েস। 

৮৩ রানে চতুর্থ ব্যাটারের বিদায়ের পর পঞ্চম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নুরুল হাসান ও নাহিদুল ইসলাম। জুটিতে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮ রান করেন নাহিদুল। 

১৯তম ওভার পর্যন্ত খেলে খুলনাকে লড়াই করার মত পুঁজি এনে দেন নুরুল। আসরের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া নুরুল ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ বলে ৫২ রান করেন। ফলে ১৯.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। দুই পেসার আহমেদ শরীফ ৪টি ও ফাহাদ হোসেন ৩টি উইকেট নেন। 
১৪৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩৩ রানে দুই ওপেনারকে হারায় চট্টগ্রাম। মাহমুদুল হাসান জয় ৮ ও আহমেদ সাদেকুর ১১ রানে আউট হন। 

শাহাদাত হোসেনর সাথে দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার মোমিনুল হক ও উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুর আউট হলে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন শাহাদাত। মোমিনুল ৮ ও ইরফান ৭ রান করেন। 

৬৫ রানে ৫ উইকেট পতনের পর দলকে লড়াইয়ে ফেরান অধিনায়ক ইয়াসির আলি ও নাইম হাসান। ৩৮ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ বলে ৩৭ রানে আউট হন ইয়াসির। 

১৭তম ওভারে ইয়াসির ফেরার পর চট্টগ্রামের রানের গতি কমে যায়। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৪ রান দরকার ছিল চট্টগ্রামের। পেসার আল-আমিন হোসেনের করা শেষ ওভার থেকে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ রানের বেশি নিতে পারেননি নাইম। ফলে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৯ রান করে ম্যাচ হারে চট্টগ্রাম। 

৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন নাইম। মাসুম খান ও মেহেদি হাসান রানা ২টি করে উইকেট নেন।