শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৩ (বাসস) : আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে জাতীয় দলে অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ফেরার সুযোগ খুব একটা দেখছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক এবং গেম ডেভেলপমেন্ট প্রধান খালেদ মাহমুদ সুজন।
মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে সুজনের এমন বক্তব্যের যুক্তি আছে। কারণ নির্বাচকরা বলেছিলেন, বিকল্প তৈরি করতে জুনিয়র খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতেই জাতীয় দলের বাইরে রাখা হয়েছে অভিজ্ঞ এ খেলোয়াড়কে।
জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর সুজনের মতে, টিম ম্যানেজমেন্ট যদি বিশ্বকাপের জন্য তাকে পরিকল্পনায় রাখতো তাহলে বিশ^কাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের খেলা সিরিজের দলে থাকতো মাহমুদুল্লাহ।
আজ সুজন বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মাহমুদুল্লাহ। অতীতে আমাদেওরঅনেক ম্যাচ জিতিয়েছে সে। সত্যি কথা বলতে, যেহেতু সে জাতীয় দলে নেই এজন্য তাকে বিশ্বকাপ দলে দেখছি না আমি। যদি সে বিশ্বকাপ দলের পরিকল্পনায় থাকতো তাহলে বাংলাদেশ এখন যে সিরিজ খেলছে সেই দলে সে থাকতো। কেননা বিশ^কাপ দরজায় কড়া নাড়ছে।’
মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা কি তা জানেন না সুজন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি এখন জাতীয় দলের ম্যনেজমেন্টে নেই, সেহেতু আমি পরিকল্পনা জানি না। এমনকি বাছাই প্রক্রিয়া কীভাবে হচ্ছে সেটিও জানতে চাই না।’
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সর্বশেষ বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। তিন ম্যাচে মাত্র ৭১ রান করেছিলেন তিনি। সিরিজটি বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে। ২০১৬ সালের পর ঘরের মাঠে এটাই প্রথম সিরিজ হার ছিলো টাইগারদের।
বাজে ফিল্ডিংয়ের কারনে স্পষ্টভাবেই ফুঠে উঠেছে বয়স প্রভাব ফেলেছে মাহমুদুল্লাহর শরীরে। তার কিছু ক্যাচ মিসে চাপে পড়েছিলো বাংলাদেশ।
মাহমুদুল্লাহর জায়গায় সুযোগ দেয়া হয়েছিলো তৌহিদ হৃদয়কে। ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংয়ে দারুন পারফরমেন্স প্রদর্শন করে আবারও মাহমুদুল্লাহর দলে ফেরার পথকে কঠিন করেছেন হৃদয়।
মাহমুদ বলেন, ‘হৃদয় ভালো করছে, দলের বাইরে রয়েছে আফিফ, আবার মুশফিকও ভালো করছে। এজন্য এই মুহূর্তে মাহমুদুল্লাহর জন্য এটা কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। মাহমুদুল্লাহকে দলে রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তার জায়গায় যারা খেলছে তারা পারফর্ম করতে পারবে কি-না এসব বিবেচনা করতে হবে।’
সুজনের মতে, ‘যদি তারা পারফর্ম করে এবং তাতে দল সন্তুষ্ট হয় তাহলে মাহমুদুল্লাহর সুযোগ কম। তার অভিজ্ঞতা আছে এবং আমরা সবাই বিশ্বাস করি সে জাতীয় দলে ফিরলে যে কোন সময় পারফর্ম করার সক্ষমতা তার রয়েছে।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এখন একটি মাত্র সুযোগ আছে মাহমুদুল্লাহর। মোহামেডানের হয়ে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১১ ম্যাচে ২৮ দশমিক ৪০ গড়ে ২৮৪ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ রান ছিলো ৭১। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচকদের বিবেচনার আসতে মাহমুদুল্লাহর এই পারফরমেন্স যথেষ্ঠ নয়।
পহেলা মে থেকে শুরু হচ্ছে ডিপিএল সুপার লিগ। নিজেকে প্রমানের আরও একটি সুযোগ পাবেন মাহমুদুল্লাহ।