শিরোনাম
করাচি, ১২ মে ২০২৩ (বাসস) : এশিয়া কাপ খেলতে ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে না গেলে, আগামী ওয়ানডে বিশ^কাপে নিজেদের ম্যাচগুলো বাংলাদেশ অথবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে খেলতে চায় পাকিস্তান। এমনটা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি নাজাম শেঠি।
এশিয়া কাপ আয়োজন ও আগামী বিশ^কাপে খেলার বিষয় নিয়ে বিবিসির পডকাস্ট ‘স্টাম্পড’-এ কথা বলেন শেঠি।
এ বছরের সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। রাজনৈতিক ইস্যুতে পাকিস্তানে খেলতে যাবে না ভারত। এজন্য এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সর্বশেষ সভায় ‘হাইব্রিড’ মডেলের কথঅ উত্থাপন করে পিসিবি।
পিসিবির ‘হাইব্রিড’ মডেল অনুসারে - ভারতের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো নিজেদের মাঠে আয়োজন করা। কিন্তু ওয়ানডে বিশ^কাপের এক মাস আগে এমন ভ্রমণ সূচিতে রাজি নয় বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। তাই পাকিস্তানের ‘হাইব্রিড’ মডেলটি হুমকির মুখে পড়েছে।
হাইব্রিড মডেল নিয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার আপত্তিতে অবাক হয়েছেন শেঠি। তিনি বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছি, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা অনানুষ্ঠানিকভাবে আমাদের প্রস্তাবের বিপক্ষে। মাস খানেক আগে এসিসি সর্বশেষ সভায় সকলে একমত পোণস করেছিল এশিয়া কাপে পাকিস্তানের অংশ গ্রহণ দরকার। পাকিস্তান ছাড়া এশিয়া কাপ হবে না। এশিয়া কাপের প্রায় ৮০ শতাংশ রাজস্ব আসে ভারত-পাকিস্বত ম্যাচ থেকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন দিন আগে আমি যে প্রস্তাব দিয়েছি, সেখানে সব সমস্যার সমাধান আছে। আমরা চারটি ম্যাচ খেলবো পাকিস্তানে, অন্য দলগুলো সেখানে যাবে এবং এরপর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে যাবে, সেটা যেখানেই হোক। বাকি ম্যাচগুলি আমরা সেখানেই খেলবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ছাড়াও আমি দিয়েছি, ফাইনাল ম্যাচও নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই খেলবো। সেটি ভারত বা অন্য যে কোনো দলের বিপক্ষে হলেও। সকল সমস্যা সমাধানের জন্য আগের অবস্থা থেকে সরেছি আমরা।’
এশিয়া কাপের ‘হাইব্রিড’ মডেলের সাথে বিশ^কাপেও মিল রাখতে চান শেঠি। তিনি বলেন, ‘যদি হাইব্রিড মডেল এখানে কার্যকর হয়, তাহলে বিশ্বকাপেও এটি কাজে লাগাতে চাই আমরা। এর মানে হলো, পাকিস্তানের ম্যাচগুলি হতে পারে বাংলাদেশে বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এমন পদক্ষেপেই সব সমাধান হতে পারও এবং বাকি সব ম্যাচ ভারতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত কেন পাকিস্তানে এসে খেলতে পারবে না? ভারত যদি পাকিস্তানে এসে খেলে, তাহলে আমরাও সেখানে গিয়ে খেলতে পারি এবং সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।’
নিজেদের ‘হাইব্রিড’ মডেলের অনড় থেকে এসিসির সিদ্বান্তের অপেক্ষার কথা জানান শেঠি বলেন, ‘আরব আমিরাত বা শ্রীলংকা যেখানেই হোক, দ্রুত ভেন্যু রিজার্ভ করতে হবে। এসিসিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের অবস্থান আমরা পরিষ্কার করেছি। এসিসির উচ্চপদস্থ এক কর্মকতার সাথে দুবাইয়ে কথা হয়েছে আমার। এটি পছন্দ করেছেন তিনি এবং বলেছেন, এটিা দারুণভাবে কার্যকর হতে পারে। জয় শাহর (বিসিসিআই সচিব ও এসিসির সভাপতি) সাথে এটি নিয়ে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে আমাদের (হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করা) এরপর আমরা বসে ঠিক করতে পারি, কোথায় খেলা হবে (নিরপক্ষে ভেন্যু)। উচ্চপদস্থ এই কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের সভা নিয়ে জয় শাহর সাথে কথা বলেছেন। এখন বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার সাথে কথা বলবেন।। এখন দেখতে হবে বিষয়টি কোনদিকে যায়।’