শিরোনাম
ঢাকা, ১২ মে, ২০২৩ (বাসস) : ‘যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, ভারত, ইরান, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের সেরা পেশাদার বক্সারদের নিয়ে আগামীকাল শুরু হচ্ছে ভাইয়া হাউজিং লিমেটেড ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং নকআউট চ্যালেঞ্জ। নি:সন্দেহে বাংলাদেশে এটাই পেশাদার বক্সিংয়ের সেরা ফাইট’। প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে (বিওএ) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই বলেন বাংলাদেশ পেশাদার বক্সিং সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। এ সময় পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ভাইয়া গ্রুপের প্রধান মার্কেটিং অফিসার চৌধুরী মাহমুদ আলী ও সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাকিব উপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল শনিবার বেলা তিনটায় যমুনা ফিউচার পার্কের ইস্টকোর্টে শুরু হবে ছয় দেশের সেরা পেশাদার বক্সিংয়ের আসর ভাইয়া হাউজিং লিমেটেড ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং নকআউট চ্যালেঞ্জ। ইউবিও আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপ ও ইউবিসি ওয়ার্ল্ড টাইটেল ভ্যাকেন্ট-এই দুটি আন্তর্জাতিক টাইটেলে খেলবেন বক্সাররা। আট বাউটের প্রতিযোগিতা হবে ১০ রাউন্ডের। যেখানে দুটি মেয়েদের ও ছয়টি বাউটে পুরুষদের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সাদিয়া ইসলাম লড়বেন স্বদেশি শামীমা জান্নাত, স্বাগতিক আমিনুল ইসলাম খেলবেন ভারতের বান্টি সিংয়ের বিপক্ষে। বাংলাদেশের মোহন আলী নেপালের পুরান রায়, বাংলাদেশের আবদুল মোতালেব নেপালের অজিত মাগার, বাংলাদেশের জয়নুল ইসলাম ভারতের ধর্মেন্দ্রর, বাংলাদেশের নুর নাসিব ভারতের পঙ্কজ বিসাতের, বাংলাদেশের হাসান শিকদার ফিলিপাইনের জন রে’র এবং ইরানের পুনেহ আক্তার বার লড়বেন ভারতের সুশীলা বিরাতের সঙ্গে। তবে বাউটের সংখ্যা বাড়তেও পারে। আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও একজন বক্সার আসার কথা রয়েছে। তিনি এলে আরেকটি বাউট বাড়তে পারে।’ ইউসিবির সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বক্সাররা সবাই আফতাবনগরে আসাদুজ্জামান ফাউন্ডেশন জিম ও প্রোমোশনে অনুশীলন করছেন। বিদেশিদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রগতি ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে।’ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হলেও দেশি পাঁচজন জাজ ও তিনজন রেফারি বাউটগুলো পরিচালনা করবেন বলেও জানা গেছে। আসাদুজ্জামানের কথায়, ‘লাসভেগাসে এই টুর্নামেন্ট হলে তিন মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি ৩০ কোটি টাকা) পুরস্কার দেওয়া হতো জয়ীদের। আমাদেরও হবে। ২০২০ সালে বাংলাদেশে শুরু করেছি। এ নিয়ে ২৯টি টুর্নামেন্ট হয়েছে। আশা করি একসময় আমাদের এই পেশাদার বক্সিং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে।’ পেশাদার ও অ্যামেচার বক্সিংয়ের পার্থক্য বুঝাতে গিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অ্যামেচার বক্সিংয়ে কোন রেকর্ড থাকে না। পেশাদার বক্সিংয়ে প্রত্যেক বক্সারের রেকর্ড (গুগল) রাখা হয়। এছাড়া পেশাদার বক্সিংয়ে কন্ট্রাক্টে খেলে থাকেন বক্সাররা। যা অ্যামেচারে হয় না।’