শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ মে, ২০২৩ (বাসস) : অবশেষে হারের মুখ থেকে দলের ম্যাচ জিততে শিখতে দেখে খুশি বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তামিমের মতে, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে বিশ্বকাপের আগে এমন জয় আত্মবিশ্বাসী করবে দলকে এবং বিদেশের মাটিতে নিয়মিত ম্যাচ জিততে সহায়তা করবে।
বৃষ্টিতে প্রথম ম্যাচ ভেস্তে যাবার পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ। এই দু’টি জয়ই এসেছে হারের মুখ থেকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তৃতীয় ম্যাচে ৪ রানে জয়ের পর সাংবাদিকদের তামিম বলেন, ‘এই জয় আমার জন্য বিশেষ কিছু, কারণ আমরা সবসময় এই ধরনের পরিস্থিতি উল্টো দিকে দেখে এসেছি, জয়ের মতো অবস্থায় থেকেও আমরা কোন না কোনভাবে হেরে যাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা দেখতে খুব আনন্দদায়ক ছিল এবং আমি মনে করি, এই জয় থেকে বোলিং ইউনিট যে ধরনের আত্মবিশ্বাস পাবে তা অবিশ্বাস্য এবং আজ যারা বোলিং করেছে তাতে আমি সত্যিই খুশি এবং সব কিছু ঠিকঠাক মত হয়েছে। এই মাঠে ২৭৪ রান ডিফেন্ড করা সহজ ছিল না এবং তারা সত্যিই ভালো করেছে।’
এই সিরিজ জয়ে আইসিসি সুপার লিগে ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে বিশ^কাপে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
বিশেভাবে কঠিন সময়ে বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং পারফরমেন্সে খুশি তামিম। একইসাথে বাংলাদেশের জন্য আনন্দের বিষয় হলো, নিজের সেরা ছন্দে ফিরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
সময়টা ভালো না যাওয়ায় অস্বস্তিতে ছিলেন মুস্তাফিজ। প্রথম দুই ম্যাচে খেলার সুযোগই পাননি তিনি। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ফিজ দেখালেন, দলের জন্য এখনও অনেক কিছু দেয়ার আছে তার। তৃতীয় ম্যাচে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নেন ফিজ।
তামিম বলেন, ‘আমি মনে করি নাজমুল এবং মুস্তাফিজের তিন ওভার আমাদের জন্য খেলার চিত্র বদলে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, এখানে (প্রেস কনফারেন্স রুমে) আমিসহ যারা বসে আছে তারা কখনই ভাবেনি আমরা এই ম্যাচটি জিততে পারবো।’
শেষ ওভারে ১০ রানের প্রয়োজন পড়ে আয়ারল্যান্ডের। বল হাতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে মাত্র ৫ রান দেন পেসার হাসান মাহমুদ। হারের মুখ থেকে ফিরে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে হাসানের প্রশংসা করে তামিম বলেন, ‘সে (হাসান) অসাধারন করেছে এবং এই মুহূর্তে সে যেভাবে বোলিং করছে তা বিশ্বমানের এবং আমি মনে করি নতুন বলে ও ডেথ ওভারে সে দুর্দান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে তরুণ কিন্তু চাপের মধ্যে খুব শান্ত। বয়সের তুলনায় সে পরিপক্ক। আপনি অনুশীলনে হাজার হাজার বল করতে পারেন কিন্তু এ ধরনের চাপের মধ্যে পারফরমেন্স করতে পারাটা দারুন এবং আমি মনে করি, সে অনেক কিছু শিখবে।’