শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ মে ২০২৩ (বাসস): সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন এশিয়ান জুনিয়র জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের (বিজিএফ) সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন। ৪৪টি দেশের অংশ গ্রহনে আগামী ৯ থেকে ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য এ টুর্নামেন্টে অংশ নেবে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ জুনিয়র দল। আগামী ৬ জুন সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে দলটি।
আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেসিয়ামে দলীয় পারফর্মেন্স যাচাইয়ের প্রতিযোগিতা উপভোগের পর তিনি বাসসকে বলেন, ‘টুর্নামেন্টে আমরা চীন, জাপান এবং কোরিয়ার সাথে খুব শক্ত গ্রুপে পড়েছি। আপনি জানেন যে চীন, জাপান এবং কোরিয়া জিমন্যাস্টিকসে খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। কিন্তু এই দলটির সাফল্যের ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী। জিমন্যাস্টরা এক থেকে তৃতীয় অবস্থানের মধ্যে স্থান পাবে এবং টুর্নামেন্ট থেকে একটি বা দুটি পদক আনতে সক্ষম হবে।’
মামুন বলেন, ‘দলীয় কোচ জিমন্যাস্টদের সম্ভাবনার বিষয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী। দলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। আমাদের জিমন্যাস্টরা সব সময় সিঙ্গাপুরে ভালো পারফর্ম করে এবং আশা করি এবারও তারা (জিমন্যাস্টরা) সেখানে এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
এদিকে আসন্ন সিঙ্গাপুর সফরে বাংলাদেশের সফলতার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান কোচ কোরিয়ার চো সং ডং। কোরিয়া জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ বাসসকে বলেন,‘ আমার প্রধান লক্ষ্য তিন বছর পরের এশিয়ান গেমস। সেখানে তাক লাগানো ফলাফল আশা করছি। এশিয়ান গেমসে জাপান, চীন ও কোরিয়ার মতো দেশ অংশ নেয়। এরা শুধু এশিয়ায় নয়, পুরো বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কোন পদক জয়, অলিম্পিকে পদক পাওয়ার সমান।’
১৯৯২ সালে হিরোশিমা অলিম্পিক গেমসে কোরিয়ান জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করা এ কোচ বলেন, ‘ওই সময় আমার শিষ্যরা জাপানকে হারিয়ে দিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমি (বাংলাদেশে) কাজ করছি। ছেলেরা যদি একটু মনোযোগ দিয়ে খেলে এবং আমার নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারে, তাহলে আমরা আশা করি ভালো একটি রেজাল্ট পাব। দলগতভাবে অন্তত তৃতীয় স্থান পাবার আশা করতে পারি। আমার একটাই লক্ষ্য, যেভাবে হোক চীনকে হারানো।’
৭৬ বছর বয়সি ওই কোচ বলেন, ‘আমি অলিম্পিকে যতবারই অংশ নিয়েছি পদক জিতে এসেছি। পাঁচ বার অলিম্পিকে গিয়েছি। কিভাবে খেললে পদক আসবে সেই পদ্ধতি আমার জানা আছে। শুধু খেলোয়াড়রা আমাকে অনুসরণ করলেই হবে।’
ডং বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এই ছেলেদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের পুর্ব কোন অভিজ্ঞতা নেই। তাদের মানষিক ভয় দূর করার জন্য আমরা টানা দুই দিন ধারাবাহিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। এটি তাদের জন্য ছিল টানা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের প্রথম অভিজ্ঞতা।’
আসন্ন সিঙ্গাপুর চ্যাম্পিয়নশীপে পোমেল, ভল্টিং ও হাই বারে (হোরাইজেন্টাল বার) এই দলের ছেলেরা ফাইনাল রাউন্ডে যেতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন কোচ।