শিরোনাম
সান সিরো, ৬ জুন ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটিকে ভয় পাবার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন ইন্টার মিলানের কোচ সিমোনে ইনজাগি।
১৩ বছর আগে সর্বশেষ ইউরোপীয়ান সর্বোচ্চ আসরে শিরোপা জয়ের পর ইস্তাম্বুলের ফাইনালে প্রথমবারের মত খেলতে নামবে ইন্টার। অভিজ্ঞতার নিরিখে ইন্টার এগিয়ে থাকলেও ফর্ম বিবেচনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম শিরোপা জয়ে সিটিকেই হট ফেবারিট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
গত তিন বছরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলতে যাচ্ছে পেপ গার্দিওলার সিটি। সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে সিটিজেনরা। প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপের শিরোপা জয়ী সিটির সামনে এখন ট্রেবল জয়ের হাতছানি।
স্থানীয় গণমাধ্যমে ইনজাগি বলেছেন, ‘আমরা ফুটবল ম্যাচ নিয়ে কথা বলছি। এখানে ভয়ের কিছু নেই। তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু এই ফাইনালে খেলতে পেরে আমরা গর্বিত। যেকোন মূল্যে আমরা এই শিরোপা পেতে মুখিয়ে আছি।’
শিরোপা জয়ের পথে ইন্টারের সামনে মূল বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আর্লিং হালান্ডের নেতৃত্বাধীন সিটির আক্রমনভাগ। এবারের মৌসুমে ইতোমধ্যেই ইউরোপে ১২ গোল করেছেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হালান্ড। তুরষ্কের ম্যাচটিতে যে দলই শিরোপা জিতুক না কেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ গোলদাতা হতে যাচ্ছেন হালান্ড।
ইন্টারের তিন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের মধ্যে অন্যতম হলেন আলেহান্দ্রো বাস্তোনি, যার ওপড় থাকছে হালান্ডকে আটকানোর মূল দায়িত্ব । হালান্ড সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ইনজাগি বলেছেন, ‘খুনীদের ভয় পাওয়া যায়, কিন্তু কোন ফুটবলারকে নয়। ভয় নিয়ে কথা বলাটাই ভুল। এটা হালান্ড বনাম ইন্টারের খেলা নয়, ম্যাচটি ম্যানচেস্টার সিটি বনাম ইন্টারের। এখানে ভয়ের কিছু নেই, তবে স্বাভাবিক ভাবেই টেনশন আছে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে ম্যাচটি ঘিরে আলাদা একটি আনন্দ আছে। মাঠে নামার জন্য আর তর সইছে না।’
ইনজাগি আরো বলেছেন লটারো মার্টিনেজের সাথে ইন্টারের আক্রমনভাগে কাকে খেলাবেন তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। অভিজ্ঞ এডিন জেকো অথবা ইন-ফর্ম রোমেলু লুকাকুর মধ্যে যেকোন একজনকে মার্টিনেজের সঙ্গী হিসেবে দেখা যাবে। বেলজিয়ান স্ট্রাইকার লুকাকু এপ্রিলের পর থেকে আবরো স্বরুপে মাঠে ফিরেছেন। দুই বছর আগে ইন্টারের হয়ে সিরি-এ শিরোপ জেতা এই তারকা আরো একবার জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছেন। শেষ ১১ ম্যাচে লুকাকু সাত গোল করেছেন ও পাঁচটিতে এ্যাসিস্ট করেছেন। ইনজাগির নিয়মিত একাদশে সাবেক সিটি ফরোয়ার্ড জেকো থাকলেও ফাইনালে লুকাকুকে দেখলে অবাক হবার কিছু থাকবে না।
এ সম্পর্কে ইনজাগি বলেছেন, ‘আমি এখনো আক্রমন, মধ্যমাঠ ও রক্ষনভাগ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। গত দুই মাসের বিবেচনায় আমার হাতে বেশ কিছু অপশন রয়েছে, একজন কোচের জন্য যা সবচেয়ে বড় স্বস্তির বিষয়। ফাইনালের আগে আমাদের হাতে এখনো চারটি অনুশীলণ সেশন রয়েছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার হাতে দল বাছাইয়ের সময় রয়েছে।’