বাসস
  ১৪ জুন ২০২৩, ১৫:৪৮

ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে দল ভাল করার ব্যপারে আশাবাদী ইংল্যান্ডের বেলিংহ্যাম

লন্ডন, ১৪ জুন ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে তিনটি বড় টুর্নামেন্টে শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হওয়া ইংল্যান্ডের ইউরো ২০২৪ যাত্রা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জুড বেলিংহ্যাম।
রিয়াল মাদ্রিদে সদ্য যোগ দেয়া এই তরুণকে আগামী বছর জার্মানীতে অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে সাউথগেটের প্রতিভাবান দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। এর আগে ২০২১ সালে ইউরো ফাইনালে পেনাল্টিতে ইতালির কাছে পরাজিত হয়ে শিরোপা পাওয়া হয়নি দলটির । ২০১৮ বিশ্বকাপেও সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল ইংলিশদের।  
হাঁটুর ইনজুরি সত্বেও মাল্টা ও নর্থ মেসিডোনিয়ার বিরুদ্ধে ইউরো ২০২৪ বাছাইপর্বের দলে ডাক পেয়েছেন বেলিংহ্যাম। ইতোমধ্যেই থ্রি লায়ন্স শিবিরে যোগ দেয়া বেলিংহ্যাম বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড সমর্থকরাও বারবার ব্যর্থতার হতাশা বুঝতে পারছে। এই দলটির প্রতি তাদের প্রত্যাশা অনেক। বিশেষ করে টুর্ণামেন্ট শুরুর আগে যে ধরনের প্রত্যাশা ইংল্যান্ডকে ঘিড়ে শুরু হয় শেষটা সেভাবে কখনই হয়না। বাস্তবতা হচ্ছে আমরা শতভাগ দিয়ে যাচ্ছি। অবশ্যই আমরা শিরোপা জেতার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামি। কিন্তু কোথায় যেন অভাব থেকে যায়। অতীতেও আন্তর্জাতিক অনেক শীর্ষ  দল শিরোপার কাছাকাছি গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। বছরের পর বছর তারা নিজেদের প্রস্তুত করেছে, কিন্তু শেষটা তাদের সুখকর হয়নি। আমি মনে করি সেই একই ঘটনা এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের সাথেও হচ্ছে। আমি বলবো না ধৈর্য্য ধরতে, কিন্তু আমরা করার চেষ্টা করছি তার উপর আস্থা রাখার আহবান জানাচ্ছি।’
কাতার বিশ^কাপে দোহায় ফ্রান্সের কাছে শেষ আটে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয়াটা ছিল সাউথগেটের দলের জন্য চরম হতাশার। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট দল হিসেবে ইংলিশরা মাঠে নেমেছিল। শেষ মুহূর্তে হ্যারি কেনের পেনাল্টি বারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। আর এতেই লেস ব্লুজরা ম্যাচে জয়ী হয়ে শেষ পর্যন্ত ফাইনাল খেলেছে। আর্জেন্টিনার কাছে ফাইনালে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়ে শিরোপা হাতছাড়া করে ফ্রান্স।
কিন্তু সেই হতাশা কাটিয়ে এবার দল আরো বেশী পরিনত ও অভিজ্ঞ, আর এটাই বেলিংহ্যামদের আশাবাদী করে তুলছে, ‘আমরা যেভাবে বিদায় নিয়েছিলাম তা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচ থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরেছিলাম। ইউরোপের অন্যতম সেরা একটি দলের বিপক্ষে সমান তালে আমরা লড়াই করেছি। যেখানে আমরা শেষ করেছিলাম ঠিক সেখান থেকেই শুরু করতে চাই। সবসময়ই আমাদের লক্ষ্য থাকে ম্যাচ জয়ের। আমরা সবাই সেই লক্ষ্যপূরনের চেষ্টা করি এবং সে ধরনের পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামি।’
বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে ইতালি ও ইউক্রেনকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড ইউরোর মূল পর্বে খেলার পথে অনেকটাই এগিয়ে আছে।