শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস): পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষনার মাধমে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে গবেষণালব্ধ জ্ঞান অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। গত শনিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক ফাউন্ডেশনের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে। গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্য-৩ অর্জনের পাশাপাশি রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে সরকারি উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে গবেষকরা সহায়ক ভূমিকা রাখছেন। জনস্বাস্থ্য গবেষণা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মূল্যবান অবদান রাখে চলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি মনে করেন আর্ক ফাউন্ডেশন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা পরিচালনার মাধ্যমে সময়োপযোগী নীতি গ্রহণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারকে সহায়তা করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আর্ক ফাউন্ডেশনের নতুন লগো উন্মোচন করেন এবং কেক কেটে সংগঠনটির ১০ বছরপূর্তি উদযাপন করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, গবেষণাভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আর্ক ফাউন্ডেশন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে অর্থ ব্যবস্থাপনা, তামাক নিয়ন্ত্রণ, জনস্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণে অ্যাডভোকেসি, জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নানা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে আমরা জনস্বাস্থ্য উন্নেয়নের ক্ষেত্রগুলিকেই চিহ্নিত করার পাশাপাশি যুগোপযোগী ও উদ্ধাবনী সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর্ক ফাউন্ডেশনের ১০ বছরের পথচলায় ভালোবাসা ও সহযোগিতার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডায়বেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএডিএএস) প্রেসিডেন্ট জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, আইসিডিডিআরবির ইনফেকশন ডিজিজ বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর ড. ফেরদৌসি কাদরি, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম এনায়েত হুসাইন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কার্যকর ও উপযোগী নীতি গ্রহণের জন্য গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আব্যশকতা অনস্বীকার্য, তাই প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনায় সহযোগিতার বিষয়ে সরকারকে আরও মনোযোগী হতে হবে এবং গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) মোকাবেলা শীর্ষক পলিসি ডায়লগ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার। এ সেশনে আলোচক ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ননকমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. রোবেদ আমীন, সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম নোমান খান, ঢাকা ব্রিটিশ হাইকমিশনের হেলথ পরামর্শক ড. রশিদ জামান ও জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির রিপ্রডাক্টিভ হেলথ ইপিডিমিওলজিস্ট ড. হালিদা হানুন আকতার।
পলিসি ডায়লগে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আহমাদুল কবির ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।