বাসস
  ১৪ মে ২০২৪, ১০:১৮
আপডেট : ১৪ মে ২০২৪, ১১:৪১

দিনাজপুর হাবিপ্রবিতে হলুদ রাঙা প্রস্ফুটিত সোনালী গাছের মনোরম দৃশ্য

দিনাজপুর, ১৪ মে ২০২৪ (বাসস): উত্তরের জনপদ দিনাজপুরে  চারিদিকে গ্রীষ্মের তাপদাহ। প্রকতির এ রুক্ষতাকে উপেক্ষা করে সবুজ পাতা ছাপিয়ে সোনালী রঙের ফুলে সেজেছে সোনালী গাছ। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে সোনালী ফুলের গাছটি হলুদরাঙা সৌন্দর্যে সবার দৃষ্টি কাড়ে।
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কথা হয় হাবিপ্রবির সংযোগ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক শ্রীপতি সিকদার এর সাথে। তিনি বলেন,  শুধু বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবনের সামনে নয়। সোনালী গাছ রয়েছে হাবিপ্রবির বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক  স্থানে। গ্রীস্মের এ তাপদাহে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চারিদিকে এ সোনালী গাছের স্নিগ্ধ শোভা বিশ্ববিদ্যালয়ের  সৌন্দর্য বৃদ্ধি  করেছে। সুযোগ পেলেই বিশ্ববিদ্যালয় এ অবস্থানরত অনেকেই সোনালী গাছের নিচে যেয়ে বসেন বাতাসের আশায়।
হাবিপ্রবির বোটানিক্যাল বিভাগের ড, অধ্যাপক আব্দুল বারী বলেন,  সোনালী গাছের  ফুলের পাঁপড়ি পাঁচটি। মাঝে পরাগ দন্ড অবস্থিত। পাতা হাল্কা সবুজাভ, মধ্য শিরা স্পষ্ট। গাছের শাখা-প্রশাখা কম, সোজা ভাবে উপরের দিকে বাড়তে থাকে, বাকল সবুজাব থেকে ধূসর রঙের, কাঠ মাঝারি শক্ত মানের হয়। ফুল থেকে গাছে ফল হয়, ফলের আকার দেখতে সজিনার আকৃতির, তবে সজিনার গায়ের চামড়াতে ঢেউতোলা সোনালী ফলে তা নেই, চামড়া মসৃণ। এ ফুলের সৌন্দর্যকে চেরি ফুলের সাথে তুলনা করা যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃতি প্রতিটি ঋতুতেই আপন সৌন্দর্য ও মহিমায় প্রস্ফুটিত হয়। অনন্য সৌন্দর্য আর মায়া দিয়ে আকর্ষণ করে ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রকৃতিপ্রেমী কোমল হৃদয়কে। গরমের মাঝে চলতি পথে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নজর কাড়ছে এ সোনালী গাছের  ফুল। প্রতিটি গাছের গা থেকে যেনো বেয়ে পড়ছে হলুদ আভার নির্ঝর। বৈশাখের তপ্ত বাতাসে যখন দুলছে গাছের একেকটি কান্ড তখন প্রশান্তির দোলা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হৃদয়কে। ক্যাম্পাসের তরুণ – তরুণীরা নিজেদের অবসর সময়ে বন্ধুদের সাথে এসে নিজেদেরকে ক্যামেরা বন্দি করতে ভুলেনা ,যা শোভা পাচ্ছে নিজেদের ফেসবুকের স্টোরিতে। প্রেয়সীর আবদার মেটাতে ক্যামেরার পিছনে শশব্যস্ত দেখা যাচ্ছে প্রেমিকদের। শুধু শিক্ষার্থীরাইনয়।সোনালী গাছের  ফুলকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও ভ্রমরদের।
তিনি বলেন, বাহারি সৌন্দর্যের ন্যায় এর রয়েছে বাহারি নাম। এর সংস্কৃত নামগুলো হলো আরগ্বধ, অমলতাস, আরোগ্যশিম্বী, কু-ল, কৃতমালক, কর্ণিকার, কর্ণী, কলিঘাত, চতুরঙ্গুল, দীর্ঘফল, ব্যাধিঘাত, রাজবৃক্ষ, শম্পাক, স্বর্ণাঙ্গ, হেমপুষ্প।তবে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, কাঁচা সোনার মতো যার রং তাকে সোনালী নামে ডাকলেই যেন বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ অনেক কবির কবিতায় পাওয়া যায় সোনালী গাছের  ফুলের নাম। শুধু সৌন্দর্য বর্ধনই নয়, এর রয়েছে নানাবিধ ওষুধি গুনাগুণ।
গ্রীস্মের এ সময়ে শিক্ষাথীরা দারুণ উপভোগ করছে এ সোনালী গাছের ফুল ও গাছের ছায়া।