বাসস
  ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১:২৮

জাতীয় চেতনা বিকাশে নিবেদিতপ্রাণ গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ


ঢাকা, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪(বাসস): আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সামগ্রিকভাবে জাতীয় সাহিত্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় চেতনা বিকাশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন।


আজ বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান এ গবেষকের ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।


তারা বলেন, আবদুল করিম একাধারে ছিলেন সাহিত্যের ইতিহাসকার,ইতিহাস তত্ত্ববিদ এবং নিষ্ঠাবান গবেষক। হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে থেকে জাতীয় মঙ্গলের আকাক্সক্ষায় আমৃত্যু কাজ করে গেছেন তিনি।


একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির সচিব মোহা: নায়েব আলী।


অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। প্রবন্ধের বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ।


সচিব বলেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি জীবনের নানা ঘাত- প্রতিঘাত অতিক্রম করে সাফল্যের চূড়া স্পর্শ করেছেন এবং আমাদের আলোকিত করেছেন।


প্রবন্ধে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন,আবদুল করিম নিছক সাহিত্যবিশারদ ছিলেন না; তাঁর স্থান এই দেশের কেন, দুনিয়ার যে কোন দেশের ইতিহাস-বিশারদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কাজী নজরুল ইসলামের আবির্ভাবের আগে যে কয়জন অগ্রণী চিন্তাবিদ বাঙালি মুসলমান সমাজে জন্মগ্রহণ করেন তারমধ্যে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ও রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তাঁদের মধ্যমণি।


তিনি বলেন,‘পুথি-সংগ্রাহক’ আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদকে পরিচয়ের ক্ষুদ্র গ-িতে আবদ্ধ করে রাখাটা ঠিক নয়।


অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ বলেন, তার রচিত বিশেষত্বময় গদ্যশৈলী, প্রখর ইতিহাসবোধ এবং আত্মপরিচয়ের উৎসমূল অনুসন্ধান তাঁকে আজও আমাদের আগ্রহ ও আবিষ্কারের কেন্দ্রে রেখেছে।


একাডেমির মহাপরিচালক বলেন,আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের কাজ ইতিহাসেরই কাজ। তাকে অনবরত পাঠ করলে আমরা তাঁর জেদ ও লড়াইয়ের মাত্রা অনুভব করবো। তাঁর জন্ম ও সাধনভূমি চট্টগ্রাম অঞ্চল ঘিরে বিশেষ অনুরাগের কথা মাথায় রেখেও এ কথা বলা যায়।