শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : আইন ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মহাকাব্যিক ও মানবতাবাদী সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক লালন শাহের দর্শন চর্চা ও গবেষণা আরো বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে লালন চর্চায় সরকারের সহযোগিতা ও উদ্যোগ বাড়ানো হবে যাতে রাষ্ট্র ও সমাজ সংস্কৃতির বিকাশে আরো বেশি লাভবান হয়।
আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজির ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে লালন স্মরণোৎসব ২০২৪ ‘ধরো মানুষ রূপ নেহারে’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণোৎসবে আলোচনক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কথা সাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আবদুল হালিম চঞ্চল।
অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল আরো বলেন, জুলাই গণ বিপ্লবের আগে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বাদ দিয়ে এ একাডেমিকে ব্যক্তির বন্দনায় পরিণত করা হয়েছিলো। আজ সময় এসেছে সবাই মিলে জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চর্চা করি। যাতে রাষ্ট্র ও সমাজ উপকৃত হয়।
সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ জুলাই গণবিপ্লবে হতাহতের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, জুলাই গণবিপ্লবের সময় লালনের গান আমাদের আন্দোলনকে বিষেশভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন।
লালনের গান ও দর্শনের দ্বারা অনেক বিশ্বখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক প্রভাবিত হয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশে লালনের দর্শন চর্চায় আরো বেশি গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, জীবন ও জগতের প্রশ্নে লালনের দর্শন ভবিষ্যত সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ হতে পারে। আসুন স্বাধীন বাংলাদেশের দর্শন চর্চায় আমরা লালন থেকে শুরু করি। যাতে আগামী প্রজন্ম লাভবান হয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, মহাত্মা লালন ছিলেন একজন নন ফ্যাসিস্ট। লালনের দর্শন চর্চা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র সংস্কৃতির কেন্দ্রের মধ্যে নিয়ে আসলে নতুন সংস্কৃতি তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে ফরিদা পারভীন ও লালন গবেষক সরদার হীরক রাজাসহ দেশের বিশিষ্ট সংগীত ও নৃত্য শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবশেন করেন।