শিরোনাম
\ দিলরুবা খাতুন \
মেহেরপুর, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : শীতের আগমনী বার্তার সাথে সাথে জেলার খাল-বিল- জলাভূমি অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে। স্থানীয় তেরঘরিয়া বিল, ছুচোখোলার বিল, জেলার সবচেয়ে বড় গাংনীর ধলার বিল পাখিরা সারাক্ষণ মুখরিত করে রেখেছে। আর পাখি দেখতে প্রতিদিনই এসব জায়গায় ভিড় করছে পাখি প্রেমীরা।
প্রতিবছর শীত মৌসুমে বিলগুলো হয়ে যায় পাখির আবাসস্থল। একসময় এসব বিল অতিথি পাখিতে ভরে থাকতো পুরো শীতকাল। এবারও এসব বিলে আসছে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি, রয়েছে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখি। পাখির কিচির মিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিলগুলো। পাখির উড়েচলা, বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, নীরবে বসে থাকা- মানুষকে আকৃষ্ট করছে। তাই দূর দূরান্ত থেকে লোকজন একনজর পাখি দেখার জন্য বিলপাড়ে ছুটে যাচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, বিলের শান্ত বুকে ঝাঁক বেঁধে ডানা মেলছে অতিথি পাখির দল। উড়ে চলা পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত চারপাশ। পিয়াং হাঁস, পাতি সরালি, লেঙজা হাঁস, বালি হাঁস, পাতিকূট-সহ দেশী জাতের শামুকখোল, পানকৌড়ী বিল এলাকা মুখরিত করে তুলছে। এবারও মানিকচকসহ সাইবেরিয়ান বিভিন্ন অতিথি পাখি চোখে পড়ার মত। সন্ধ্যার কোলে কোলে পাখিদের উড়ে আসার মিছিল প্রাণ জুড়িয়ে দেয়।
আলাপ হয় স্থানীয় পাখি প্রেমিক সদানন্দ মন্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণক্ষেত্র রক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশ ক্রমে ক্রমে অতিথি পাখির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠছে। শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না। সর্বস্তরের মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।