শিরোনাম
ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপি ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ ও ফিল্ম ক্লাবের উদ্যোগে এবং ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি এবং ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মুহাম্মদী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাহ নিস্তার জাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক সামির আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, চলচ্চিত্র একটি সৃজনশীল গণমাধ্যম। এটি কেবল একটি শিল্প নয়। অনেকগুলো শিল্পের সমন্বয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। এর সাথে জড়িয়ে থাকে সংস্কৃতির নানা উপাদান। একটি সিনেমা যে দেশে নির্মিত হয় তা ওই দেশের জাতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। শিল্পকলার প্রভাবশালী মাধ্যম, শক্তিশালী বিনোদন মাধ্যম এবং শিক্ষার অন্যতম সেরা উপকরণ হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে চলচ্চিত্রের। সাধারণ মানুষের কাছাকাছি খুব সহজে পৌঁছার ক্ষেত্রেও চলচ্চিত্রের ভূমিকা অপরিসীম। আবার সৃষ্টিশীল মানুষ ও আলোকিত সমাজ উপহার দেয়ার ক্ষেত্রেও এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।
তারা বলেন, সফল চলচ্চিত্র নির্মাণে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ থেকে তিনদিন ব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবে যেসব ইরানি চলচ্চিত্র দেখানো হবে তার বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত।এসব চলচ্চিত্র দর্শকদের কাছে দারুণভাবে সমাদৃত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এই ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনা পর্ব শেষে দুপুর ১ টায় প্রদর্শিত হয় ইবরাহিম হাতামি কিয়া পরিচালিত ‘বডিগার্ড’। উৎসবের দ্বিতীয় দিন ৪ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১ টায় দেখানো হবে ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মাজিদ মাজিদির ‘দি কালার অব প্যারাডাইস’ ও বেলা ২ টা ৩০ মিনিটে সেইফুল্লাহ দাদ পরিচালিত ‘দি সারভাইভার’। উৎসবের শেষ দিন ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মাজিদ মাজিদির ‘দি সংস অব স্প্যারো’, বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে আব্বাস কিয়ারোস্তামির ‘টেস্ট অব চেরি’ এবং বেলা ১টা ৪৫মিনিটে মাজিদ মাজিদির ‘দি চিল্ড্রেন অব হ্যাভেন’ প্রদর্শিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এ উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত।