বাসস
  ৩১ মার্চ ২০২৫, ২৩:১৭

ঈদের দিনে দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটা সৈকত

ঈদের দিনে দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটা সৈকত- ছবি : বাসস

পটুয়াখালী, ৩১ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : পটুয়াখালীতে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা দর্শনার্থী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আগতদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। আজ সোমবার  কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। লোকে-লোকারণ্য হয়েছে। ঈদের নামাজের পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুর গড়িয়ে বিকেলে বাড়তে থাকে পর্যটকদের উপস্থিতি। সন্ধ্যায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো সৈকত।  উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে সৈকতের বেলাভূমে।

তারা সাগরের ঢেউয়ের তালে তালে আনন্দময় সময় কাটান। সৈকতের বিভিন্ন সৌন্দর্যমন্ডিত স্পটে ঘুরে বেড়ান। আগতদের  অধিকাংশই সপরিবারে এসেছেন। বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল, অটোবাইক, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে কুয়াকাটায় যাওয়া আসা করেন তারা। খাবার হোটেল-রেস্তরায় ভিড় থাকলেও আবাসিক হোটেলে তেমন গেষ্ট ছিলেন না। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে বলে জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ।
 
সোমবার কুয়াকাটায় কিশোর-তরুণদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। তারা সাগরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গোসলে মত্ত ছিলো। তরুণ কিশোর বাইকারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ারমতো। দীর্ঘ একমাস পর কুয়াকাটায় যেন প্রাণের স্পন্দন ফিরে এসেছে।

কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা এক দম্পতি জানান, তুলাতলি গ্রামের বাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের ছুটিতে এসেছেন। মাত্র ১২ কিলোমিটার দুরের এ চিরচেনা পছন্দের কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়ানোর সুযোগকে হাতছাড়া করেননি। দুপুরের পর থেকে অধিকাংশ স্থান ঘুরেছেন। সন্ধ্যার পরে বাড়িতে ফিরবেন। তবে আকাশ কিছুটা কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘলা থাকায় সূর্যাস্ত নিজের মতো উপভোগ করতে না পারার কিছুটা আক্ষেপ জানালেন এই দম্পতি।

হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, আজকে যারা এসছেন  তাদের ৯০ শতাংশই স্থানীয় ও আশপাশের  এলাকার মানুষ। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা দর্শনার্থী। মূলত মঙ্গলবার থেকে পর্যটকদের আগমন শুরু হবে। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোতালেব শরীফ জানান, দীর্ঘ একমাস পর কুয়াকাটা যেন চির চেনা চেহারায় ফিরেছে। তবে আবাসিক হোটেলে অবস্থান করা পর্যটকের ভিড় থাকবে ২-৪ এপ্রিল পর্যন্ত। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে। কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।