বাসস
  ০২ জুলাই ২০২৩, ১১:১০

জয়পুরহাটে বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

জয়পুরহাট , ২ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই ভিন্নতা। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সব বয়সের আনন্দ পিপাসু মানুষের পদভারে মূখরিত এখন জয়পুরহাটের  বিনোদন কেন্দ্র শিশু উদ্যান ও পাঁচবিবির আব্দুল কাদের চেীধুরী পৌরপার্ক।  ঈদের নামাজ শেষে  কিছুটা সময় পার করেই শিশুরা ছোটে আনন্দ ভ্রমণে। ছুটি  থাকায় ঈদের  দিন বিকেল থেকে  জেলার  এ বিনোদন কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমণের যেন কমতি নেই দর্শনার্থীদের। ভেদাভেদ ভুলে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগিতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।  
জয়পুরহাট জেলা শহর থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে বুলুপাড়া এলাকায় অবস্থিত শিশু উদ্যান নামের শিশু বিনোদন কেন্দ্র। বিনোদনের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা জীবন গড়ে তোলা মূল লক্ষ্য নিয়ে ২৫ একর জমির ওপর বেসরকারি উদ্যোগে এটি নির্মিত হয় ২০০৫ সালে। খেলা-ধূলার বিভিন্ন রাইডের পাশাপাশি শিশুদের মনোরঞ্জনে উদ্যানটি নানাভাবে সাজানো হলেও নিরিবিলি পরিবেশ আকৃষ্ট করে বড়দেরও। ২০টি রাইডের পাশাপাশি এবারের বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে স্পিট বোর্ড, রকি হর্স ও কুমির বোট। ঈদুল আজহার দিন বিকেল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে  এখানে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে শিশুদের নিয়ে বেড়াতে আসেন সব বয়সের মানুষ। অন্যান্য সময় তুলনামূলক দর্শনার্থী কিছুটা কম থাকলেও ঈদের প্রথম , দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে দর্শনার্থীদের পদচারণায় শিশু উদ্যোন ফিরে পায় যেন নতুন রুপ। সেই সঙ্গে পাঁচবিবি উপজেলা শহরের আব্দুল কাদের চৌধুরী পৌর পার্ক। এখানে নাগড়দোলাতে চড়ে শিশুরা আনন্দ উপভোগ করেন। ছোট বড় বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় শুরু হয় বাড়তি আনন্দ উপভোগ করার জন্য। শিশু উদ্যানে বেড়াতে আসা শিশু দর্শনার্থীরা খুশি বলে জানান শিশু  ফাইয়াজ ইসলাম, নুহা, সোনিয়া আকতার, আমরিন, পাপিয়া, আনিসুর রহমান, সজিব, শামিম ও  পলাশ ।   
বিনোদনের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা জীবন গড়ে তোলার প্রাধান্য দিয়ে এ বিনোদন কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানালেন  উদ্যানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী প্রিন্স। প্রবেশ টিকিট ছোটদের ৫০ টাকা, বড়দের ১০০ টাকা এবং রাইড গুলোতে ২০ থেকে ৩০ টাকা ফি পর্যন্ত রয়েছে। দর্শকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুরো উদ্যান জুড়ে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। দূরের ভ্রমণপিপাসুদের জন্য গাড়ি পার্কিং সুবিধা রয়েছে। বাস ১ শ, ভটভটি ও মাইক্রো ৫০ টাকা, মোটর সাইকেল ২০ ও সাইকেল ১০ টাকা ভাড়া। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগির মতই গড়ে উঠুক মানুষের প্রাত্যহিক জীবন। যেখানে ভেদাভেদ ভুলে মিলেমিশে বাস করবে প্রতিটি মানুষ এমনি প্রত্যাশা সকলের।