বাসস
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৯
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:১৭

‘তারুণ্যের উৎসব’ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার একটি ভালো উদ্যোগ 

সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ আরিফা জাহান বীথি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস): সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ আরিফা জাহান বীথি মনে করেন, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তারুণ্যের উৎসব অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।

“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” শীর্ষক স্লোগান নিয়ে সারা দেশব্যপী আয়োজিত হচ্ছে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর মাধ্যমে যার সূচনা হয়েছে।

রংপুরের নারীদের স্বপ্নের ক্রিকেট একাডেমির স্বত্বাধিকারী বীথি বলেছেন, ‘জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে এটি একটি দারুন উদ্যোগ। আমরা যেহেতু বৈষম্যমুক্ত দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছি, সেক্ষেত্রে এই ধরনের উৎসবের মাধ্যমে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকার সময়োপোযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেই আমার বিশ্বাস।’

শুধুমাত্র নারীদের জন্য এই ধরনের ক্রিকেট একাডেমি প্রথমবারের মত বীথির হাত ধরেই চালু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি ক্রীড়া একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে ভূমিকা রাখে। অতীতেও আমরা এর প্রমান পেয়েছি। আশা করছি যুব উৎসব আবারো সেটার প্রমান দিবে।’

গত ১৬ জুলাই ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আবু সাঈদের পরিবারসহ ওই সময় আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বীথি তার চাকরি হারিয়েছিলেন। ওই সময় রংপুর বিভাগীয় নারী ক্রিকেট দলের ম্যানেজার হিসেবে চুক্তিভুক্ত ছিলেন বীথি। 

কার্যত আবু সাঈদের শহিদ হওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে পুরো জাতি প্রতিবাদে একত্রিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বীথি বিভিন্ন সময় খাবার/পানি দিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের সহযোগিতা করেছেন। আওয়ামী সরকারের পতনের পর বীথি আবারো তার পদ ফিরে পেয়েছিলেন। 

বীথি বলেন, ‘একাডেমির মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে সহযোগিতা করা ছাড়াও জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম। ওই সময়ে অনেকেই শহিদ হয়েছেন, আহত হয়ে এখনো দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে ছাত্রদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি, তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছি। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য বেশ কিছু দোকান নির্মাণ করে দিয়েছি, যাতে করে ছাত্ররা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে পারে। 

আমি বিশ্বাস করি তারুণ্যের উৎসব আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের ভাগ্য পরিবর্তনের একটি সোপান হতে পারে।’