বাসস
  ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫০
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪০

শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে বরিশালের বিপক্ষে রংপুরকে জেতালেন নুরুল

ঢাকা, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ২৬ রান দরকার ছিল রংপুর রাইডার্সের।

বরিশালের মিডিয়াম পেসার কাইল মায়ার্সের করা শেষ ওভারে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩০ রান তুলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৩তম ম্যাচে রংপুরকে ৩ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ের স্বাদ দিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৭ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংসে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হন নুরুল।

বরিশালের ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৮ রানের টার্গেট স্পর্শ করে চলতি বিপিএলে টানা ষষ্ঠ ম্যাচ জিতলো রংপুর। ৬ ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রংপুর। পঞ্চম ম্যাচে এটি দ্বিতীয় হার বরিশালের। ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে বরিশাল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ফরচুন বরিশালকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পাওয়ার প্লেতে ৪৬ ও ১০ ওভারে ৮১ রান তুলেন তারা।

১১তম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমণে এনে বরিশালের দুই ওপেনারকে সাজঘরে পাঠান রংপুর রাইডার্সের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ওভারের প্রথম বলে শান্তকে এবং শেষ বলে তামিমকে শিকার করেন রাব্বি। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় শান্ত ৩০ বলে ৪১ এবং ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় অধিনায়ক তামিম ৩৪ বলে ৪০ রান করেন। এই ইনিংসে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৮ হাজার রান পূর্ণ করেন তামিম।

৯০ রানের মধ্যে বরিশালের দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের রানের চাকা সচল রাখেন কাইল মায়ার্স ও তাওহিদ হৃদয়। ১৬ ওভারে দলের রান ১৪৬’এ নেন তারা।

১৭তম ওভারে মায়ার্স ও হৃদয়ের জুটি ভাঙেন পেসার আকিফ জাভেদ। ১টি করে চার-ছক্কায় ১৮ বলে ২৩ রানে আউট হন হৃদয়। পাঁচ নম্বরে নামা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২ রানে আউট হলে বরিশালকে বড় সংগ্রহ এনে দেন মায়ার্স ও ফাহিম আশরাফ। পঞ্চম উইকেটে মায়ার্সের সাথে ৯ বলে ২৯ রানের জুটিতে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬ বল খেলে ২০ রান তুলেন আশরাফ।

শেষ ওভারে আশরাফ রান আউট হলেও ৩টি ছক্কায় ২২ রান তুলেন মায়ার্স। ফলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৭ রানের সংগ্রহ পায় বরিশাল। ১টি বাউন্ডারি ও ৭টি ওভার বাউন্ডারিতে ২৯ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেন মায়ার্স।

কামরুল ৪৭ রানে ২টি, আকিফ-সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।

১৯৮ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ওভারেই ইনফর্ম অ্যালেক্স হেলসকে হারায় রংপুর। ১ রান করে স্পিনার তানভির ইসলামের বলে আউট হন তিনি।

হেলসের বিদায়ে পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি রংপুরের আরেক ওপেনার তৌফিক খান ও সাইফ হাসান। ৬ ওভারে ৩৪ রান উঠে। সপ্তম ওভারে সাইফকে শিকার করে বরিশালকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন ফাহিম আশরাফ। নবম ওভারে তৌফিককে বিদায় দেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। তৌফিক ২৮ বলে ৩৮ ও সাইফ ২২ রান করেন।

৬৬ রানে ৩ উইকেট পতনের পর রংপুরের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। ৫৩ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েন তারা। দু’জনের দারুণ জুটিতে শেষ ৩ ওভারে ৪২ রান দরকার পড়ে রংপুরের।

১৮তম ওভারে ইফতিখারকে শিকার করে বরিশালকে ব্রে-থ্রু এনে দেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৬ বলে ৪৮ রান করেন ইফতিখার।

১৯ ওভারে ১৩ রান উঠলেও ৩ উইকেট হারায় রংপুর। ফলে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ওভারে ২৬ রান দরকার পড়ে রংপুরের। এ অবস্থায় মায়ার্সের হাতে বল তুলে দেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। স্ট্রাইকে ছিলেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল।

প্রথম চার বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২০ রান তুলেন নুরুল। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মারেন তিনি। শেষ বলে জয় থেকে ২ রান দূরে ছিল রংপুর। ম্যাচের শেষ বলে ছক্কা মেরে রংপুরকে দুর্দান্ত জয় উপহার দেন নুরুল। ৩টি করে চার-ছক্কায় ৭ বলে অপরাজিত ৩২ রান করেন  তিনি।

এছাড়া ইফতিখারের সাথে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়া খুশদিল ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ২৪ বলে করেন ৪৮ রান।