বাসস
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৭
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৯

লক্ষ্মীপুরে তরুণ্যের উৎসব উপলক্ষে পিঠা মেলা 

লক্ষ্মীপুরে তরুণ্যের উৎসব উপলক্ষে পিঠা মেলা। ছবি: বাসস

লক্ষ্মীপুর, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই এ প্রতিপাদ্য নিয়ে তরুণ্যের উৎসব উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তিন দিনব্যাপী পিঠা মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলার উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার।

বাঙালির চিরচেনা ঐতিহ্য ধরে রাখতে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী পিঠা পুলির মেলা। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক স্টল নিয়ে পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে। 

এ উৎসব উপভোগ করতে মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জেলা প্রশাসকের দাবি, গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে  রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ব্যাপক সাড়া মিলেছে। প্রতি বছরই এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার আশা করেন তিনি।

আয়োজক কমিটি ও দর্শনার্থীরা জানায়, কুয়াশার সকালে কিংবা সন্ধ্যায় হিমেল বাতাসে মুখরোচক পিঠার স্বাদ নেওয়া ভোজন বিলাসী বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, লে. কর্নেল সাজেদুল ইসলাম রেজা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেপি দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামশেদ আলম রানাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পিঠা মেলায় স্থান পেয়েছে জিরা পিঠা, ভাপা, নকশি, চিতই, পাঠিসাপটা, জামাই বরণ পিঠা, ডাল ও তালের পিঠাসহ অর্ধশতাধিক স্টলে প্রায় তিন শতাধিক পিঠার সমারাহ। আর এসব গ্রাম বাংলার বিভিন্ন পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ মেলায় জেলার ৫টি উপজেলার সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এ অংশ নেয়।

নতুন প্রজন্মের সঙ্গে দেশীয় পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতে এমন আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা। পাশাপাশি তারুণ্যের যে উৎসব। সেই উৎসব যেন সারাবছর জুড়ে থাকে, সেটাই প্রত্যাশা করেন তারা।

সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সালেহ উদ্দিন ও নারী নেত্রী শিমু আক্তার বলেন, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্যোগে প্রতিবছর শীত এলে বিভিন্ন জায়গায় পিঠা মেলার আয়োজন করা হয়। 

শীত উপেক্ষা করে আর এসব উৎসবে বাবা-মার সঙ্গে দলে দলে শিশু কিশোররা আসে পিঠা উৎসবে। মেলায় পিঠাপুলির এ আয়োজনে খুশি অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো। জেলা প্রশাসন ব্যাতিক্রমী এ আয়োজনকে স্বাগত জানান মেলায় অংশ নেওয়া দর্শনার্থীরা। তাই প্রতি বছরে যেন এমন আয়োজন করা হয়, সেটাই প্রত্যশা করেন তরুণ প্রজন্ম ।

শিক্ষক জসিম উদ্দিনসহ কয়েক শিক্ষার্থী জানায়, পিঠা মেলায় স্থান পেয়েছে জিরা পিঠা, ভাপা, নকশি, চিতই, পাঠিসাপটা, জামাই বরণ পিঠা, ডাল ও তালের পিঠাসহ তিন শতাধিক পিঠার সমারাহ। উৎসবে ভিড় জমান জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনেকেই মেতেছিল উৎসবে। কেউ কিনছেন, কেউ খাচ্ছেন। আবার কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন প্রিয়জনের জন্য। পিঠা পুলির এ আয়োজনটি তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করে। পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে স্টলে বিক্রি করার মাঝেই আনন্দ তাদের। এতে তরুণরা বিভিন্ন পিঠার সাথে পরিচয় হতে পেরে খুশি তারা।