শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : ১২ বছর পর ম্যাচ সেরা হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রেকর্ডবুকে নাম লিখিয়েছেন অলরাউন্ডার নাঈম ইসলাম।
গতরাতে বিপিএলের ২৮তম ম্যাচে নাঈমের অলরাউন্ড নৈপুন্যে দুর্বার রাজশাহীকে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম কিংস। ব্যাট হাতে ৪১ বলে ৫৬ ও বল হাতে ৬ রানে ২ উইকেট নেন তিনি।
৪,৩৬৪ দিন পর অর্থাৎ প্রায় ১২ বছর পর বিপিএলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন নাঈম। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে সর্বশেষ হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে কোন ব্যাটারের দুই হাফ সেঞ্চুরির মধ্যে দিন বিবেচনায় এটিই সর্বোচ্চ লম্বা সময়।
২০১৩ সালে বিপিএলে শেষবার যখন হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন নাঈম তখনও চট্টগ্রাম কিংসের হয়ে খেলেছিলেন। ঐবার ৭২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
এর আগে বিপিএলে এমন রেকর্ড ছিল আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীর। তার দুই হাফ সেঞ্চুরি মাঝে ব্যবধান ছিল ২৬২৫ দিন। চট্টগ্রামের হয়ে ২০১৬-২০১৭ মৌসুমে হাফ সেঞ্চুরির পর ২০২৩-২০২৪ সংস্করণে রংপুর রাইডার্সের হয়ে অর্ধশতক করেন তিনি।
পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ এবং বাবর আজম নিজেদের দুই হাফ-সেঞ্চুরির মাঝে যথাক্রমে ২৬১৮ দিন এবং ২২৪৭ দিন সময় নিয়েছিলেন। নাঈম ও নবীর পরের দু’টি স্থানে আছেন তারা।
এ ম্যাচে ২ উইকেট নিয়েও নজির গড়েছেন নাঈম। বিপিএলের ২০১৫-২০১৬ মৌসুমের পর কোন ম্যাচে একের বেশি উইকেট নিয়েছেন তিনি। শেষবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন নাইম।
অলরাউন্ড পারফরমেন্সে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হন নাইম। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর প্রথম বিপিএলের ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হলেন তিনি।
এ ব্যাপারে নাঈম বলেন, ‘এটি সত্যিই ভালো লাগছে। ব্যাটিং-বোলিং পারপরমেন্স দিয়ে, যখন দলের জন্য অবদান রাখা যায়, তখন আনন্দের মাত্রা বেড়ে যায়।’
প্রথম দুই ম্যাচে ভালো কিছু করতে না পারায় একাদশে সুযোগ পাননি নাঈম। অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্টকে হতাশ করেননি তিনি। তার উপর আস্থা থাকায়, সেই প্রতিদান দিয়েছেন নাঈম।
তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে ওপেন করেছিলাম কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। তাই আমাকে কয়েকটি ম্যাচের জন্য বাদ দেওয়া হয়েছিলো।’
নাঈম বলেন, ‘আমি দলে ফিরেই ভালো খেলেছি। আমি আমার দলের মালিককে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, তিনি আমাকে এই ম্যাচে সুযোগ দিয়েছেন।’