শিরোনাম
ঢাকা, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে স্থানীয় খেলোয়াড়দের বড় অবদান রাখতে হবে বলে মনে করেন রংপুর রাইডার্সের অলরাউন্ডার মাহেদি হাসান।
আগামীকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনার মুখোমুখি হবে রংপুর। এ ম্যাচের বিজীয় দল ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে খেলবে। আর হেরে যাওয়া দল বিপিএল থেকে বিদায় নিবে। এলিমিনেটর ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।
গত দুই আসরে বিপিএলের এলিমিনেটর রাউন্ড থেকে বাদ পড়েছিলো রংপুর। এবার এলিমিনেটর বাঁধা টপকে যাওয়াই রংপুরের মূল লক্ষ্য বলে জানান মাহেদি।
আজ মাহেদি বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে আমরা এলিমিনেটর ম্যাচে হেরে যাওয়ায় ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছি। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এ বছরও আমাদের সুযোগ আছে। এবার আমরা এলিমিনেটর বাঁধা টপকাতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ফাইনালে যেতে চাই। ফাইনালে উঠার জন্য আগামীকালের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সাতজন স্থানীয় খেলোয়াড় আছে, এ ম্যাচে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের চার বিদেশি খেলোয়াড়ও ছন্দে আছে। কিন্তু নক আউট ম্যাচে স্থানীয় খেলোয়াড়দের বড় ভূমিকা রাখা উচিত।’
গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শিরোপার স্বাদ নিয়ে বিপিএল খেলতে নামে রংপুর। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে বিপিএলে টানা আট ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে রংপুর। কিন্তু‘ নবম ম্যাচ থেকে খেই হারায় তারা। শেষ চার ম্যাচের সবগুলোতেই হেরে যায় দলটি।
পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয়স্থানে নেমে যাওয়ায় এলিমিনেটর খেলতে হবে নুরুল হাসান সোহানের দলকে।
প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে খেলবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম কিংস। প্রথম কোয়ালিফাইয়ারের বিজয়ী দল সরাসরি ফাইনালে খেলবে। আর হেরে যাওয়া দল দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে খেলবে এলিমিনেটর ম্যাচের বিজয়ী দলের সাথে। যা অঘোষিত সেমিফাইনাল হিসেবে বিবেচিত।
লিগ পর্বের শেষ চার ম্যাচ হারলেও দলের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেনি বলে জানিয়েছেন মাহেদি। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি শীর্ষ দুই দলের মধ্যে শেষ করতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। তারপরও আমরা ভেঙ্গে পড়িনি। আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো বড় কিছু অর্জন করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা শীর্ষ দুইয়ের মধ্যে থাকতে পারতাম তাহলে আমরা দু’বার সুযোগ পেতাম। আমরা এখন নকআউট পর্বে রয়েছি। এটা এখন আমাদের জন্য ডু-অর-ডাই ম্যাচ হয়ে গেছে। এটা নিশ্চিত যে আমরা নিজেদের সেরাটা উজার করে দিবো।’
শেষ চার ম্যাচে হার নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করে নিজেদের সামর্থ্যরে উপর আস্থা রাখতে চান মাহেদি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্যের উপর আস্থা আছে। প্রতিটি খেলোয়াড়ই ম্যাচ জয়ের জন্য মাঠে নামবে। কিন্তু প্রতিদিন একইরকম যায় না। আমরা শীর্ষ দু’দলের মধ্যে থাকতে পারিনি। কিন্তু বিষয়টা এই নয় যে সব কিছু শেষ হয়ে গিয়েছে।’
মাহেদি বলেন, ‘আমাদের এখনও সুযোগ আছে। আমরা এই সুযোগকে ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি। আমি মনে করি দলের সবাই ভালো ছন্দে আছে। কারণ এই সময়ে আমরা যদি দল হিসেবে ভেঙ্গে পড়ি আমরা এখান থেকে বের হতে পারবো না।’