শিরোনাম
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস) : আন্তর্জাতিক টেবিল টেনিসে বাংলাদেশের একমাত্র স্বর্ণ এসেছিল ২০২২ সালের মালদ্বীপে দক্ষিণ এশিয় যুব টেবিল টেনিসে। এরপর সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষ মুহূর্তে আর স্বর্ণের দেখা মেলেনি। এবার নেপালে অনুষ্ঠিতব্য একই টুর্ণামেন্টে আবার স্বর্ণের প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন (বিটিটিএফ)।
আজ রোববার দুপুরে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফেডারেশনে সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন এ এম মাকসুদ আহমেদ (সনেট)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এম এস জামান, সহ-সভাপতি তাহমিনা তারমিন বিনু, বিকেএসপির উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) উজ্জ্বল চক্রবর্তী। এছাড়া ফেডারেশনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আহমেদ উল্লাহ, কাজী মুহাম্মদ আসিফ, সুজন মাহমুদ এবং মো: মাইনুল ইসলাম চিশতী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল নেপালে যাচ্ছে। অনূর্ধ্ব ১৯ বালক ও বালিকা বিভাগে ৩ জন করে এবং অনূর্ধ্ব ১৫ বালক ও বালিকা বিভাগে ৩ জন করে খেলোয়াড় অংশ নিবে। এছাড়া ১ জন করে অতিরিক্ত খেলোয়াড় নেয়া হচ্ছে বিকল্প হিসেবে যাদের খরচ ফেডারেশন থেকে বহন করা হচ্ছে। জাতীয় যুব দলের ১৬ জন খেলোয়াড়দের মধ্যে ১১ জনই ঢাকা বিকেএসপির খেলোয়াড় এবং ৩ জন খুলনা বিকেএসপির খেলোয়াড়, ১ জন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ১ জন রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার খেলোয়াড়।
অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা হলেন অনূর্ধ্ব ১৯ বালক: হাসিব (অধিনায়ক), নাফিজ (সহ-অধিনায়ক), জয় এবং সাগর, অনূর্ধ্ব ১৯ বালিকা : খই খই (অধিনায়ক), রেশমি (সহ-অধিনায়ক), ঐশি ( সেনা বাহিনী) এবং হাবিবা, অনূর্ধ্ব ১৫ বালক: মনিরুল (অধিনায়ক), রাব্বি (সহ-অধিনায়ক), সোহান এবং শাহীন, অনূর্ধ্ব ১৫ বালিকা : রানী (অধিনায়ক), রাফিয়া (সহ-অধিনায়ক), রোজা এবং কেয়া।
খুব স্বল্প সময়ে প্রস্তুতি হলেও বিকেএসপির সহযোগিতায় খুবই ইনসেনটিভ প্রশিক্ষণ হওয়ায় দল নিয়ে আশাবাদী সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এবং দেশের একমাত্র লেভেল ৩ কোচ খন্দকার মোস্তফা বিল্লাহ। তিনি হেড কোচ হিসেবে দলের সাথে যাচ্ছেন। টিম লিডার হিসেবে দলের সাথে যাচ্ছেন সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক নাসিমুল হাসান কচি।
নতুন এ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব নেবার সঙ্গে সঙ্গেই তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে প্রথম একমি কাপ উন্মুক্ত টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় গত ২১-২৩ ফেব্রুয়ারি। দীর্ঘদিন পর ফেডারেশনে প্রায় সাড়ে তিনশত টেবিল টেনিস খেলোয়াড় কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।
এছাড়া ২১ জন লেভেল ১ কোচকে আইটিটিএফ এর অফিসিয়াল জর্ডানের মোহাম্মদ আতুম এর তত্ত্বাবধানে ১৪-১৯ এপ্রিল বিকেএসপিতে আবাসিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। খুব শিগগিরই দেশের আরো ৩০ জন লেভেল ১ কোচ তৈরি করা হবে।
বিটিটিএফ এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এম এস জামান এর পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ১৫-১৯ মে পর্যন্ত বিটিটিএফ প্রেসিডেন্ট কাপ উন্মুক্ত র্যাঙ্কিং প্রাইজমানি টুর্ণামেন্টে আয়োজিত হতে যাচ্ছে। এছাড়া আম্পায়ার্স রিফ্রেশার্স কোর্স এবং আম্পায়ার্স বেসিক কোর্স শুরু হবে। এছাড়া ফেডারেশন কাপ টেবিল টেনিস টুর্ণামেন্ট, জাতীয় টেবিল টেনিস টুর্ণামেন্ট এবং ঢাকা টেবিল টেনিস লীগ শুরু হবে।
সাধারণ সম্পাদক জানান, আমাদের পলিসি হচ্ছে ‘ট্রেইন এন্ড টেস্ট’। আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার মাঠে তাদের উন্নতি পরীক্ষা করবো।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দু’টি প্রতিযোগিতা রয়েছে, সৌদি আরবে নভেম্বরে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস এবং ২০২৬ এর জানুয়ারিতে পাকিস্তানে সাফ গেমস। প্রতিযোগিতাগুলোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।