শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে এটি একটি বৈশ্বিক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। এজন্য চিকিৎসক, ভেটেরিনারিয়ান, ফার্মাসিস্ট, নীতিনির্ধারকসহ সকল অংশিজনকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২১নভেম্বর) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ‘বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) সচেতনতা সপ্তাহ-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। আয়োজনে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, টেকনিক্যাল সেশন, বিশেষজ্ঞ প্যানেল আলোচনা, সেরা ভিডিও, পোস্টার, পেন্সিল স্কেচ ও মটো প্রদর্শনী এবং সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার বন্ধে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা আরও বলেন, কৃষি, অ্যাকোয়াকালচার, ডেইরি ও পোল্ট্রি শিল্পে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যম কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সকাল সাড়ে ৯টায় সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে বের করা শোভাযাত্রায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। এরপর সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় টেকনিক্যাল সেশন ও আলোচনা সভা। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভাসু’র পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. এস. কে. এম. আজিজুল ইসলাম।
ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সোহেল আল ফারুকের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিভাসু’র ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক, পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নুরুন নবী, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়া এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস-এর অ্যাগ্রোভেট ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার জয়ন্ত দত্ত গুপ্ত। টেকনিক্যাল সেশনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম।
এরপর একই স্থানে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. সফিকুল ইসলাম এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস-এর অ্যাগ্রোভেট ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার জয়ন্ত দত্ত গুপ্ত। সভাপতিত্ব করেন ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আমীর হোসেন সৈকত। শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।