শিরোনাম
ঢাকা, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২(বাসস) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ১২ শতাংশ ডিপ্রেশনে ভুগছেন।
তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. শহীদ মিলন হলে ‘কিডনী ডিজিজ রিসার্চ গ্রুপ’ আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনার দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব নিয়ে ‘মাল্টিটিউড অব ইস্যুস ইন কোভিডঃ রেনাল, কার্ডিয়াক এন্ড মেটাবোলিক ইনফ্লুয়েন্স’ ও ‘লং টার্ম হেলথ কনসিকোয়েন্সেস অ্যাজ এ পোস্ট কোভিড-১৯ সিকোয়াল ইন হেলথ কেয়ার ওয়ার্কার্স’ শীর্ষক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনায় বাংলাদেশে পেশাজীবীদের মধ্যে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশী মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়াও কোভিড আক্রান্ত চিকিৎসকদের শতকরা ৪০ ভাগ চিকিৎসক এবং শতকরা ৩৪ ভাগ নার্সেরা লং কোভিডে ভুগছেন। করোনায় যাদের ডায়াবেটিস ছিল না তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে। করোনায় অনেকের মায়োপ্যাথি হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল চিকিৎসকদের গবেষণার কাজ করতে হবে। একবার গবেষণার কাজ করলেই হবে না। ধারাবাহিকভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
ইউজিসি অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিম্পোজিয়ামে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু সালেহ আহমেদ, বার্ডেমের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের কানসালট্যান্ট ডা. মীর ইসারাকুজ্জামান একটি করে গবেষণা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে গবেষণা ফল প্রকাশ করেন অধ্যাপক ডা. মাসুদ ইকবাল।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. দিপল কৃষ্ণ অধিকারী।
সিম্পোজিয়ামে প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী ও বার্ডেমের অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান, অধ্যাপক ডা. এম আইয়ুব আলী চৌধুরী।