শিরোনাম
চেন্নাই, ৯ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : ভারতীয় স্পিনার রবিন্দ্র জাদেজা বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার মত ‘বড় দলের’ বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করাটা ভারতকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে।
চেন্নাইয়ে গতকাল পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে স্বাগতিক ভারত।
বাঁহাতি স্পিনার জাদেজা ২৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। প্রথমে ব্যাটিং করা অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১৯৯ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে মাত্র দুই রানে তিন উইকেট হারিয়ে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫২ বল হাতে রেখে ভারত জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচ শেষে জাদেজা বলেছেন, ‘বড় দলের বিপক্ষে জয়টা সবসময়ই আনন্দের এবং এতে আত্মবিশ^াস বাড়ে। আমি এটা বলছি না বড় দলগুলোর তকমা যাদের গায়ে আছে তাদের বাইরের দলগুলোর বিপক্ষে খেলাটা সহজ। কিন্তু তিন থেকে চারটি বড় দলের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করতে পারলে আত্মবিশ^াস অন্য পর্যায়ে চলে যায়।’
প্রচন্ড গরম আবহাওয়ার ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ৪১ ও স্টিভ স্মিথের ৪৬ রানের ইনিংস কিছুটা থিতু হবার আগে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল প্যাট কামিন্সের দল। স্পিনাররা আবারো ভারতকে ম্যাচে ফেরায়। কুলদ্বীপ যাদব বাঁহাতি ওয়ার্নারকে ও জাদেজা ফেরান স্মিথকে। স্মিথের আউট প্রসঙ্গে জাদেজা বলেছেন, ‘ঐ সময় থেকে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে ফিরে আসা কঠিন হয়ে পড়ে। নতুন একজন ব্যাটার এসে কিছু করতে পারেনি। আমি মনে করি ঐ উইকেটটাই টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ঐ সময় ৩ উইকেটে ১১০ রান থেকে অস্ট্রেলিয়া ১৯৯ রানে অল আউট হয়।’
জাদেজাকে তার সতীর্থ স্পিনাররা ভালই সহায়তা করেছে। কুলদ্বীপ ৪২ রানে ২টি ও রবিচন্দ্রন অশ^ীন ৩৪ রানে নিয়েছেন এক উইকেট। দলের হয়ে স্পিনাররা ভিন্ন ধর্মী ভূমিকা পালন করছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে জাদেজা বলেন, এখানে নির্দিষ্ট কোন ভূমিকা নেই। যত দ্রুত সম্ভব উইকেট তুলে নেয়াই মূল লক্ষ্য ছিল।
অধিনায়ক রোহিত শর্মাসহ তিনজন ব্যাটসম্যান শুন্য রানে ফিরে যাবার পর বিরাট কোহলি (৮৫) ও কেএল রাহুল (৯৭*) মিলে ১৬৫ রান যোগ করেন। জাদেজা বলেন, ‘তিন উইকেট হারিয়ে সবাই অস্বস্তিতে পড়েছিল। কিন্তু আমরা জানতাম বিরাট ও কোহলি বিপদ সামলে উঠতে পারবে। দীর্ঘদিন ধরে তারা দলের জন্য এই কাজ করে আসছে। তারা দুর্দান্ত খেলেছে। চেন্নাইয়ের কন্ডিশন সম্পর্কে তাদের ভাল ধারনা আছে। তাদের ব্যাটিং দেখাটাও আনন্দের ছিল।’