শিরোনাম
হায়দারাবাদ, ৯ অক্টোবর ২০২৩ (বাসস) : টানা দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল ওয়ানডে বিশ^কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলতে নামছে পাকিস্তান। অন্য দিকে প্রথম ম্যাচে হারের দুঃস্মৃতি ভুলে চলতি বিশ^কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম জয় পেতে মরিয়া শ্রীলংকা। এছাড়া বিশ^কাপের ইতিহাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে এখনও জয়ের দেখা পায়নি শ্রীলংকা। এবার সেই বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে চায় লংকানরা।
হায়দারাবাদে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচটি।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮১ রানের জয় দিয়ে বিশ^কাপ মিশন শুরু করে পাকিস্তান। হায়দারাবাদে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল ৬৮ রানের দু’টি ইনিংস খেলেন। লোয়ার অর্ডারে মোহাম্মদ নওয়াজের ৩৯ ও শাদাব খানের ৩২ রান পাকিস্তানকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেয়।
জবাবে ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলতে না পারার ব্যর্থতায় পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া টার্গেট স্পর্শ করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। ৪১ ওভারে ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় ডাচরা।
পাকিস্তানের মত বিশ^কাপ শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলংকার। নয়া দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০২ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারে লংকানরা। ঐ ম্যাচে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে একের পর এক নয়া রেকর্ড গড়ে প্রোটিয়ারা।
ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক-রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও আইডেন মার্করাম সেঞ্চুরিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৪২৮ রানের পাহাড় গড়ে প্রোটিয়ারা। বিশ^কাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের বিশ^রেকর্ড করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি কক ১০০, ডুসেন ১০৮ এবং ৪৯ বলে বিশ^কাপে দ্রুততমসেঞ্চুরি পূর্ন করে ১০৬ রান করেন মার্করাম।
বোলারদের ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার ৪২৯ রানের বিশাল টার্গেটের জবাব শক্তহাতে দেয়ার চেষ্টা করে শ্রীলংকার ব্যাটাররা। এতে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা এড়াতে পারে লংকানরা। তিন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩১ বল বাকী থাকতে সব উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রান করে শ্রীলংকা।
প্রথম ম্যাচে হারের পরও ঘুড়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন শ্রীলংকার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তিনি বলেন, ‘অস্বীকার করার উপায় নেই প্রথম ম্যাচে আমরা ্রপত্যাশানুযায়ী খেলতে পারিনি। ৪২৯ রানের বিশাল টার্গেটে দলের ব্যাটাররা ভেঙে পড়েনি। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছে তারা। কিন্ত বড় ইনিংস খেলতে না পারায়, জবাবটা ঠিকঠাক দেয়া হয়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা উজার করে দিতেই আমরা মাঠে নামবো।’
গেল মাসে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তানকে নাটকীয়ভাবে ২ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিলো শ্রীলংকা। ঐ জয় আত্মবিশ^াস জোগাচ্ছে লংকানদের। সেটি মনে করিয়ে দিলেন শানাকা, ‘কিছুদিন আগে এশিয়া কাপে আমরা পাকিস্তানকে হারিয়েছিলাম। ঐ জয় আমরা এখন ভুলিনি এবং যা আমাদের বাড়তি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। পাকিস্তানকে হারানো ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ^াসী।’
এ দিকে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতলেও, শ্রীলংকার বিপক্ষে সতর্ক পাকিস্তান। দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিজওয়ান বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ভালো খেলেই জিতেছি আমরা। কিন্তু শ্রীলংকার বিপক্ষে বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। ম্যাচ জয়ের জন্যই আমরা মাঠে নামবো, কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারন এশিয়া কাপের পারফরমেন্স ও কৌশলগত দিক বিবেচনায় শ্রীলংকা শক্তিশালী দল।’
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১৫৬বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-শ্রীলংকা। এরমধ্যে পাকিস্তানের জয় ৯২ ম্যাচে ও শ্রীলংকার জয় ৫৮টিতে। ১টি ম্যাচ টাই ও ৪টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
বিশ^কাপের মঞ্চে আটবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এরমধ্যে ৭টিতেই জিতেছে পাকরা। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
পাকিস্তান দল : বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, আবদুল্লাহ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আঘা সালমান, মোহাম্মদ নাওয়াজ, উসামা মির, হারিস রউফ, হাসান আলি, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।
শ্রীলংকা দল : দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), কুশল মেন্ডিস (সহ-অধিনায়ক), কুশল পেরেরা, পাথুম নিশাঙ্কা, দিমুথ করুনারতেœ, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দুশান হেমন্ত, মহেশ থিকশানা, দুনিথ ওয়েলালাগে, কাসুন রাজিথা, মাতিশা পাথিরানা, লাহিরু কুমারা ও দিলশান মাদুশঙ্কা।