শিরোনাম
মুম্বাই, ২২ অক্টোবর ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : হেনরিচ ক্লাসেনের অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপে গতকাল মুম্বাইয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্লাসেনের ১০৯ রানে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে ৩৯৯ রানের পাহাড় সমান টার্গেট দেয় ইংল্যান্ডকে।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৩৬ ডিগ্রির তাপমাত্রার প্রচন্ড গরমে ব্যাটিং করতে গিয়ে ক্লাসের বলেছেন, মনে হয়েছে ‘সান বাথের মধ্যে ব্যাটিং করছি’। গরমের কারনে বারবার পায়ের পেশীতে টান লেগেছে ক্লাসেনের। ষষ্ঠ উইকেটে তাকে যথার্থই সহযোগিতা করেছেন মার্কো জানসেন। ৭৭ বলে এই জুটির ১৫১ রানের ইনিংসই মূলত প্রোটিয়াদের বড় রানের ভিত গড়ে দেয়। জানসেন ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ওয়ানডেতে এটা জানসেনের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। বল হাতেও জানসেন তার মূল দায়িত্ব ঠিকই পালন করেছেন। বাঁ-হাতি এই পেসার ৫ ওভারে ৩৫ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। প্রোটিয়া বোলিং তোপে ৪০০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ১৭০ রানে ।
৪৫ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে ক্লাসেন গতকাল চতুর্থ সেঞ্চুরি করেছেন। তার এই যাত্রায় প্রায় পুরোটা সময় জানসেন যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তাতে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ক্লাসেন, ‘আমি সত্যিই কাল অনেক বেশী ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, শেষের দিকে কোন শক্তি পাচ্ছিলাম না। আমার পার্টনার মার্কোই আমাকে এ ব্যপারে সবচেয়ে বেশী সহযোগিতা করেছে। আমার সেঞ্চুরির পিছনে তার বিরাট অবদান রয়েছে। জানসেন আমাকে বলেছিল সেঞ্চুরি করার আগে সে আমাকে মাঠ ছাড়তে দেবেনা। তার প্রেরণা ছিল সত্যিই উদ্দীপনামূলক।
৩২ বছর বয়সী ক্লাসেন আরো বলেন, ‘গরম বাতাসে শ^াস নেয়াও কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। প্রতিবারই রান নেবার চেষ্টা করতে গেলে আরো বেশী শক্তির প্রয়োজন হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত শরীর আর সায় দিচ্ছিল না। আমার কাছে মনে হয়েছে পুরো ইনিংসে আমি সানের মধ্যে দৌড়াচ্ছি। কিন্তু দেশের স্বার্থে সবকিছু পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হয়। আমি সারা জীবন এভাবেই কাজ করেছি। যে কারনে এটি আমার জন্য অসাধারন একটি মুহূর্ত।’
টেস্ট স্ট্যাটাস না পাওয়া নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে দক্সিণ আফ্রিকাকে যে লজ্জার মুখে দক্ষিণ পড়তে হয়েছিল তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য গতকালকের জয়টি জরুরী ছিল। শ্রীলংকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর ডাচদের কাছে পরাজয়ে সব কিছুই আবার নতুন করে শুরু করার তাগিদ ছিল। ক্লাসেন বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পরাজয়টা কঠিন ছিল। কিন্তু একটি পরাজয় কোনসময়ই প্রমান করে না যে আমরা খারাপ দল। আজকের পারফরমেন্স ছিল দুর্দান্ত।’
অসুস্থতার কারনে শেষ মুহূর্তে অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার জায়গায় দলে সুযোগ পাওয়া ওপেনার রেজা হেনড্রিক্সের প্রশংসা করেছেন ক্লাসেন। এবারের আসরে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই ৮৫ রানের ইনিংস খেলে হেনড্রিক্স নিজেকে প্রমান করেছেন। এর মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার টিম স্পিরিটও প্রমানিত হয়েছে। ক্লাসেন বলেন, ‘একেবারে শেষ মুহূর্তে রেজাকে দলে ডাকা হয়েছে। আমার মনে হয় টস করার পাঁচ মিনিট আগে জানা গেছে তেম্বা খেলতে পারছেন না। কিন্তু রেজা নিজেকে ঠিকই প্রমান করেছে। চাপের মধ্যে সে দারুন কিছু শট খেলেছে। এতেই প্রমান হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান দলটি কোন অবস্থানে আছে।’