শিরোনাম
বেঙ্গালুরু (ভারত), ১০ নভেম্বর ২০২৩ (বাসস/এএফপি): বিশ্বকাপে গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে ভারতীয় ভক্তদের মুখে নিজের নাম উচ্চারণ করা শুনে ‘পুলকিত’ বোধ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র।
তবে এমন ঘটনায় ২৩ বছর বয়সি ওই ব্যাটারের খুব বেশী অবাক হওয়ার কোন কারণ নেই। কেননা নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমানোর আগে ভারতের দক্ষিনাঞ্চলীয় এ শহরে বসবাস করতেন তারা বাবা-মা।
চলমান বিশ^কাপে খ্যাতি লাভ ও দর্শকদের সমর্থন আদায় করে নেওয়া তারকাদের একজন রবীন্দ্র। গতকাল শ্রীলংকার বিপক্ষে কিউইদের ৫ উইকেটে জয় পাওয়া ম্যাচে ৪২ রান করেছেন তিনি। ওই জয়ে বিশ^কাপের সেমিফাইনালে খেলার নিশ্চয়তা অনেকটাই পেয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচ শেষে রবীন্দ্র স্টার স্পোর্টসকে বলেন,‘ এটি আমাকে কিছুটা পুলকিত করেছে। বেঙ্গালুরুতে খেলার সময় এই সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সমর্থকরা আমার নাম ধরে চিৎকার করেছে। এটি এমন একটি বিষয় যা আমি কখনো আশা করিনি। শিশুকাল থেকেই আমার এমন স্বপ্ন ছিল। এখানে খুবই ভাল লাগছে। এমনটি হওয়ায় আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’
ভারতীয় কিংবদন্তী দুই ক্রিকেটারের নামের অদ্যাক্ষর নিয়ে রাচিনের নামের প্রথম অংশটি রেখেছিলেন তার ক্রিকেট অনুরাগী বাবা। রা- দিয়ে রাহুল দ্রাবিড় ও চিন- দিয়ে শচিন টেন্ডুলকারকে বোঝানো হয়েছে। ভারতের দুই বিখ্যাত ক্রিকেটারের নামের প্রতি সুবিচার করতে কোন রকম বেগ পেতে হচ্ছে না রবীন্দ্র’র।
চলতি বিশ^কাপে এখন পর্যন্ত তিনটি সেঞ্চুরিসহ নয় ইনিংসে ৭০-র বেশী গড়ে ৫৬৫ রান নিয়ে শীর্ষ সংগ্রাহকের আসনে রয়েছেন কিউই এ ব্যাটার।
রাচিন বলেন,‘ ছয় থেকে ১২ মাস আগেও আমি এমন অবস্থায় ছিলাম না।’ এমনকি বিশ^কাপের দলেও সুযোগ পাবার কথা ছিল না। শুধুমাত্র হাঁটুর ইনজুরিতে আক্রান্ত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে সময় বেশী লাগায় স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছিলেন রাচিন। তিনি বলেন,‘ এটি একটি মজার ব্যাপার। আমার আইডল হচ্ছেন কেন। এছাড়া বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ ও জো রুটের মতো তারকারাও আমার বেশ পছন্দের। তবে কেন তার নেতৃত্ব দিয়ে মাঠে ও মাঠের বাইরে আমাকে অনুুপ্রানীত করেছেন।’
ভারত সফর রবীন্দ্রর জন্য সবসময় স্মরনীয় হয়ে থেকেছে। ২০২১ সালে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সতীর্থ আজাজ প্যাটেলের করা বল তেকে ক্যাচ লুফে নিয়েছিলেন তিনি, যার সুবাদে তৃতীয় কোন বোলার হিসেবে এক ইনিংসে ১০ উইকেট দখলের ইতিহাসে নাম লিখিয়েছিলেন এজাজ। এতে ৩৭২ রানে পরাজয়ের ধাক্কা কাটাতে সক্ষম হয়েছিল কিউইরা।
রাচিন বলেন,‘ এটি ছিল আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ¯œায়ুচাপের মুহুর্ত। ক্যাচটি লুফে নিতে পেরে নিজেকে আমি ভাগ্যবান মনে করছি।’