শিরোনাম
আহমেদাবাদ, ২০ নভেম্বর ২০২৩ (বাসস) : ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে হেডের ১২০ বলে ১৩৭ রানের নান্দনিক ইনিংসে ভর করে স্বাগতিক ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মত বিশ্বকাপ মুকুট পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরির ইনিংসে ম্যাচ সেরা হয়ে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নেন হেড। বিশ্বকাপ ইতিহাসে চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্যাচ সেরা হন তিনি। সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল হাতে ২ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৪৮ বলে ৬২ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন হেড।
হেডের আগে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ভারতের মহিন্দার অমরনাথ, শ্রীলংকার অরবিন্দ ডি সিলভা এবং অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে অমরনাথ, ১৯৯৬ সালে ডি সিলভা ও ১৯৯৯ সালে ওয়ার্ন ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন।
বিশ্বের সপ্তম ও অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে বিশ^কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করেন হেড।
ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ১৩৭ রানের ইনিংসে রেকর্ড বইয়ে সবার উপরে নাম লিখিয়েছেন হেড। বিশ্বকাপ ফাইনালে রান তাড়ায় হেডের ইনিংসটিই এখন সর্বোচ্চ। এতে পেছনে পড়েছেন ডি সিলভা। ১৯৯৬ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে শ্রীলংকার হয়ে রান তাড়া করতে নেমে ১০৭ রান করেছিলেন ডি সিলভা।
বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে দু’টি সেঞ্চুরি করেছেন হেড। গতরাতের ফাইনাল ছাড়াও এ বছরের জুনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১৬৩ রান করেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক এখন হেড। এতে ভেঙেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচাডর্সের ৪৪ বছরের রেকর্ড। ১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬২ রান এবং ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১৩৭ রান করেছেন তিনি। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে হেডের সর্বমোট রান ১৯৯। ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪২ এবং ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১৩৮ রান করেছিলেন ভিভ। বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে মোট ১৮০ রান নিয়ে ১৯৭৯ আসরে রেকর্ডের মালিক ছিলেন ভিভ।