শিরোনাম
নিয়ামি, নাইজার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): নাইজারের সামরিক শাসক রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজাউমের বিচারের অঙ্গীকার করেছে।
একইসঙ্গে দেশটির জেনারেলরা নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্যে পশ্চিম আফ্রিকান নেতৃবৃন্দের সমালোচনা করেছে।
গত ২৬ জুলাই নাইজারের সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাজাউমকে ক্ষমতাচ্যুত করায় ‘দ্য ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস(ইসিওডব্লিউএএস)’ দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এমনকি তারা নাইজারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের বিষয়টিও উড়িয়ে দেয়নি।
পশ্চিম আফ্রিকান ব্লক যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব নাইজারের ‘সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্ট্যান্ডবাই ফোর্স’ মোতায়েনের বিষয়টি অনুমোদন করেছে। তবে এ ব্লক সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের উপায় খুঁজতেও অঙ্গীকারবদ্ধ।
এদিকে জাতীয় টেলিভিশনে রোববার কর্ণেল মেজর আমাদু আবদ্রামানে যে বিবৃতি পাঠ করেন তাতে বলা হয়েছে, নাইজারের সামরিক নেতৃবৃন্দ ‘উচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং নাইজারের আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তা ক্ষুন্নের’ অভিযোগে বাজাউমের বিচার করবেন।
অভু্যুত্থানের পর থেকে বাজাউম (৬৩) ও তার পরিবার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে আটক রয়েছেন। আটকাবস্থায় তার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যরা ভালো আছেন।
তারা আরো বলেছেন, নাইজারের ওপর অবরোধের কারনে সাধারণ মানুষের খাদ্য, ঔষধ ও বিদ্যুৎ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে । তারা একে অবৈধ, অমানবিক ও অপমানজনক বলে বর্ণনা করেছেন।
অভ্যুত্থান নেতা জেনারেল আবদুররাহমানে তিয়ানির সাথে ধর্মীয় মধ্যস্থতাকারীদের সাক্ষাতের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।