শিরোনাম
সিউল, ৩১ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : উত্তর কোরিয়া বলেছে, তারা ‘কৌশলগত পরমাণু হামলা মোকাবেলার’ অংশ হিসেবে স্বল্প পাল্লার দু’টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার প্রেক্ষাপটে তারা এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ওয়াশিংটন সিউলের সাথে সম্মিলিত বিমান মহড়ার জন্য বি-১বি বোমারু বিমান মোতায়েন করার কয়েক ঘণ্টা পর এবং মিত্ররা তাদের বার্ষিক উলচি ফ্রিডম শিল্ড মহড়ার এক দিন আগে দুই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার এমন সামরিক মহড়া সর্বদা পিয়ংইয়ংকে বিক্ষুব্ধ করে।
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, বুধবার গভীর রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত বরাবর প্রধান কমান্ড সেন্টার এবং অপারেশনাল এয়ারফিল্ড কৌশলগত পারমাণবিক হামলা মোকাবেলার অংশ হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র দু’টি নিক্ষেপ করে।
উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থা (কেসিএনএ) পরিবেশিত এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, ‘কৌশলগত ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দ’ুটি পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উত্তরপূর্ব দিকে ছোঁড়া হয় এবং সখিঠতকভাবে (তাদের) পারমাণবিক স্ট্রাইক মিশন চালানো হয়।’
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘শত্রু পক্ষের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠানোই এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উদ্দেশ্য।’
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জানান, তারা মধ্যরাতের ঠিক আগে উত্তর থেকে পূর্ব সাগরের দিকে ছোঁড়া স্বল্প পাল্লার দ’ুটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। এটি জাপান সাগর নামেও পরিচিত।
জেসিএস এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র দু’টি সাগরে পড়ার আগে প্রায় ৩৬০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
টোকিও জানিয়েছে, দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রই কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলের কাছে এবং জাপানের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক জোনের বাইরে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।