শিরোনাম
ওয়াশিংটন, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): বৃহস্পতিবার কিউবার গুয়ানতানামো বে’তে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারক রায় দিয়েছেন যে, সিআইএ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার একজন ইয়েমেনি বন্দী মৃত্যুদন্ডের মামলায় বিচারের অযোগ্য। মার্কিন গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
৫১ বছর বয়সী রামজি বিন আল-শিবা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১, যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে আল কায়েদার হামলার সাথে সম্পর্কিত একটি বিচারে পাঁচজন আসামির একজন। এই হামলায প্রায় ৩,০০০ লোক মারা যায়।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, সামরিক বিচারক কর্নেল ম্যাথিউ ম্যাককল বলেন, বন্দী শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক নির্যাতনে মৃতপ্রায়।
কিউবার পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটির চিকিৎসকরা বিন আল-শিবকে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার এবং সেকেন্ডারি সাইকোটিক বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি একটি বিরল ব্যাধিতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করেছেন।
টাইমস জানিয়েছে, সামরিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রতিরক্ষা দলের সাথে ‘তার বিরুদ্ধে কার্যক্রমের প্রকৃতি বুঝতে বা সজ্ঞানে সহযোগিতা করতে’ অক্ষম।
টাইমস জানায়, বিন আল-শিব বছরের পর বছর ধরে অভিযোগ করেছেন, ‘অদৃশ্য শক্তির দ্বারা নির্যাতন করা হয়েছে। যার ফলে তার বিছানা এবং কক্ষ কম্পিত হয়েছে এবং যা তার যৌনাঙ্গে আঘাত করেছে, তাকে ঘুম থেকে বঞ্চিত করেছে।’
বিন আল-শিবের আইনজীবী দাবি করেছেন, তার মক্কেল সিআইএ দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছিল এবং এজেন্সি উন্নত জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল বলেছে, যার মধ্যে ঘুমের বঞ্চনা, ওয়াটারবোর্ডিং এবং মারধর অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে সে পাগল হয়ে গিয়েছিল।
৯/১১ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিশ্বাস করা খালিদ শেখ মোহাম্মদ এবং অন্য তিনজন আসামীর সাথে তাকে শুক্রবার প্রাক-বিচার কার্যক্রমের মুখোমুখি হতে হবে। তাদের শুনানি নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলবে বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে।
বিন আল-শিবের বিরুদ্ধে জার্মানির হামবুর্গে আল কায়েদা সেলকে সংগঠিত করতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। যে দ’ুটি যাত্রীবাহী বিমান হাইজ্যাক করেছিল তার একটি নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিধ্বস্ত হয়েছিল।
আরেকটি আত্মঘাতী বিমান হামলা ওয়াশিংটনের পেন্টাগনকে লক্ষ্য করে এবং চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভানিয়ায় বিধ্বস্ত হয়।