শিরোনাম
আঙ্কারা, ২ অক্টোবর, ২০২৩(বাসস ডেস্ক): তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় রোববার পার্লামেন্ট ভবনের কাছে বিস্ফোরণের পর দেশটি ইরাকের উত্তরাঞ্চলে পিকেকের স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।
বোমা হামলার পর পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান একে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, সন্ত্রাসীরা কখনই তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।
এদিকে এই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। তুরস্ক ও পশ্চিমাদের চোখে পিকেকে একটি তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন।
আঙ্কারায় গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। যে এলাকাটিকে টার্গেট করা হয়েছে সেখানে পার্লামেন্ট ভবন ছাড়াও কয়েকটি মন্ত্রণালয় রয়েছে।
এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, দুই সন্ত্রাসী বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হালকা ধরনের একটি বাহনে করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনের ফটকের সামনে বোমা হামলা চালায়। এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। অন্যজনকে প্রতিহত করা হয়। এ ছাড়া হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা সামান্য আহত হন।
আঙ্কারার প্রসিকিউটরের কার্যালয় বলেছে, তারা তদন্ত শুরু এবং এ এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
এছাড়া স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে হামলার স্থল থেকে সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুর্দি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংবাদমাধ্যম ‘এএনএফ’ জানিয়েছে, তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে জীবন বাজী রেখে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় ইরাকের কুর্দিস্তানের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তুরস্কের সামরিক বিমান ইরাকের উত্তরাঞ্চলের বাদরান গ্রামে হামলা চালিয়েছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ হামলার খবর নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এসব হামলায় পিকেকের অন্তত ২৯টি স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। এসব স্থাপনা সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করে আসছিল সংগঠনটি।
১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের সঙ্গে পিকেকের সশস্ত্র বিরোধ চলে আসছে। প্রায় চার দশক ধরে চালানো বিভিন্ন হামলায় ১০ হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
আঙ্কারায় ২০১৫ সালের অক্টোবরে স্টেশনের সামনে আইএসের হামলায় ১০৯ জন নিহত হয়েছে।
সর্বশেষ ২০২২ সালের নভেম্বরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় ৬ জন নিহত ও ৮১ জন আহত হয়েছে।
এদিকে আঙ্কারায় গতকালের হামলার পর বিশে^র বিভিন্ন দেশের নেতা তুরস্কের সমর্থনে কথা বলেছেন। এদের মধ্যে রয়েছে জার্মানী, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।