শিরোনাম
ওয়াশিংটন, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার বলেছেন, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক পুন:স্থাপনের চাপ থাকায় আগামী নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সাথে তার সাক্ষাত হতে পারে। তবে এই ব্যাপারে এখনো কিছুই নির্ধারিত হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন। খবর এএফপি’র।
প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাধর এ¦ই দুই নেতার মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে ব্যক্তিগতভাবে কোন সাক্ষাত হয়নি বা কথা বলেন নি। বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জেদাজেদির কারণে এক্ষেত্রে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
সান ফ্রান্সিসকোকে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের সময় তাদের সাক্ষাত হতে যাচ্ছে এমন খবরের পর বাইডেন বলেন, ‘এই ধরনের কোন বৈঠক হয়নি, তবে এটি হচ্ছে একটি সম্ভাবনা।’
বাইডেন আগামী ১৬ ও ১৭ নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়া শহরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের নেতাদের অংশগ্রহণে সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছেন এবং এই সম্মেলন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের মিলনের স্থান হতে পারে বলে জল্পনা-কল্পনা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এই শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে একটি বৈঠকের পরিকল্পনা শুরু করেছে। এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ‘এটি মোটামুটি নিশ্চিত।’
এদিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এপেক সম্মেলনের আগে কোন এক সময় ওয়াশিংটন সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শি এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাক্ষাত করবেন কি-না সে ব্যাপারে বেইজিং কোনকিছু নিশ্চিত করেনি।
২০২২ সালের নভেম্বরে বালি শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাইডেন ও শি’র মধ্যে সর্বশেষ সাক্ষাত হয়। এই সময় তাদের মধ্যে কথোপকথন আশ্চর্যজনকভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু তারপর সম্পর্ক আবারো স্থবির হয়ে পড়ে এবং ওই সময়ের পর থেকে তাদের মধ্যে কোন ফোনালাপও হয়নি।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দুই দেশ কূটনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকায় ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।