শিরোনাম
ইয়াংগুন,মিয়ানমার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে মিয়ানমার গেছেন চীনের জন নিরাপত্তা মন্ত্রী। তিনি উভয় দেশের অভিন্ন সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সাথে বৈঠক করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্য সীমান্তে জাতিগত তিনটি সশস্ত্র গ্রুপের সাথে মিয়ানারের সৈন্যদের সংঘর্ষের কারণে হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অনেকে চীনে পালিয়ে গেছে।
ওয়াং জিয়াওহং, যিনি চীনের মন্ত্রিসভা, স্টেট কাউন্সিলেরও একজন সদস্য, রাজধানী নেপিদোতে জান্তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ইয়ার পায়ের সাথে দেখা করেছেন।
‘গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিস্তারিত উল্লেখ না করে মিয়ানমারের পত্রিকাটি বলছে, উভয়ে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং আইন প্রয়োগ ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের একটি অংশ জুড়ে লড়াই চলছে। যেখানে বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড বৈশ্বিক অবকাঠামো প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিলিয়ন ডলারের রেল সংযোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জাতিগত তিনটি সশস্ত্র গ্রুপ তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) বলেছে যে, তারা বেশ কয়েকটি সামরিক চৌকি এবং গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দখল করেছে।
এই তিনটি গ্রুপ স্বায়ত্তশাসন এবং সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেনাবাহিনীর সাথে নিয়মিত লড়াই চালিয়ে আসছে।
জাতিসংঘ আশংকা করে বলেছে, এ লড়াইয়ে ৬,২০০ লোক বাস্তুচ্যুত এবং ছয়শ লোক চীন সীমান্তের দিকে পালিয়ে গেছে।
চীন মিয়ানমারের অন্যতম মিত্র এবং জান্তা সরকারের বৃহৎ অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ।