বাসস
  ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:১৪

জিম্মি নিয়ে আলোচনার জন্য থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাতার ও মিশর সফর

ব্যাংকক, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় এই গ্রুপের হাতে জিম্মি ২২ জন থাই নাগরিকের পরিণতি নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার কাতার ও মিশরে ঝটিকা সফর শুরু করেছেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর এএফপি’র।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে চালানো হামাসের ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ১,৪০০ জন নিহত হয়েছে। হামাসের হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। হামাসের হামলার প্রথম দিনে তাদের নির্বিচারে গুলি করে ও পুড়িয়ে মারার এবং ২৩০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করার পর ইসরায়েল গাজা অবরোধ করে এবং সেখানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায়।
গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় চালানো ইসরায়েলের হামলায় ৮’৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে ৩,০০০ এরও বেশি শিশু রয়েছে।
সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ব্যাংককের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সর্বশেষ ইসরায়েলি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গাজায় হামাসের হাতে ২৩০ জনেরও বেশি জিম্মি রয়েছে। এদের মধ্যে ২২ জন থাই নাগরিক।
প্রধানমন্ত্রী ¯্রথো থাভিসিন সোমবার বলেন, তার সরকার থাই নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বুধবার মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনার আগে তিনি মঙ্গলবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রী বাহিদ্ধা-নুকারাকে পাঠিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পার্নপ্রী ‘ইসরায়েল ও গাজায় চলমান সহিংসতার ফলে জিম্মি হওয়া থাই নাগরিকদের পরিণতি নিয়ে আলোচনা করবেন।’
যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার সময় প্রায় ৩০,০০০ থাই নাগরিক ইসরায়েলে কর্মে নিয়োজিত ছিল। এদের বেশির ভাগই কৃষি খাতে কাজ করে।
মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধে থাইল্যান্ডের  কমপক্ষে ৩২ নাগরিক নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছে।