বাসস
  ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২০

গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ

ওয়াশিংটন, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রন ডার্মার সাথে এক ফোনালাপে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রদানের অনুমতি এবং ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য ইসরায়েলকে আরো কিছু করার আহ্বান জানিয়েছেন। এক মার্কিন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
বুধবার রাতে গাজায় জ্বালানি সরবরাহ ‘ন্যূনতম’ বৃদ্ধির ইসরায়েলের অনুমোদন দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে ইসরায়েলি সৈন্যরা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের সিনিয়র এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ডার্মারকে আরো কিছু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের অবিচ্ছিন্ন সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছে এবং তারা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং সেখানে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে একেবারে জনসম্মুখে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ইসরায়েলের সাথে ওয়াশিংটনের ভারসাম্য বজায় রাখার কাজটি প্রবীণ কূটনীতিক কার্ট ক্যাম্পবেলের মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠে। তিনি ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
ক্যাম্পবেল বৃহস্পতিবার সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সামনে তার প্রতিপাদন শুনানিতে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে সামরিক অভিযান পরিচালনার বিষয়ে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের উদ্বেগের কথা প্রকাশে সতর্ক ছিলাম।’
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্থনের প্রস্তাব দিতে এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ব্লিঙ্কেন চারবার ইসরায়েল সফর করেন।
বর্তমানে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ তীব্রতর হচ্ছে। গাজা সিটিতে যুদ্ধের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেক ফিলিস্তিনি নাগরিক সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭,১৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে।