শিরোনাম
সিউল, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস/এএফপি): উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের শক্তিশালী বোন
বৃহস্পতিবার বলেছেন, তার দেশ টোকিওর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালাবে। এমনকি জাপানের নেতাকে ভবিষ্যতে পিয়ংইয়ং সফরের সম্ভ্যাব্য আমন্ত্রণের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা গত সপ্তাহে টোকিও এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে বর্তমান সম্পর্কের পরিবর্তনের জন্য ‘জরুরী প্রয়োজন’ অনুভব করার পরে কিম ইয়ো জং-এর মন্তব্য এসেছে।
কিম সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিকে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি মনে করি তার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে প্রশংসা না করার কোন কারণ নেই। যদি এটি সাহসিকতার সাথে নিজেকে অতীতের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য তার আসল উদ্দেশ্য দ্বারা প্ররোচিত হয়।’
কিম বলেন, ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে উত্তর কোরিয়ার জাপানি নাগরিকদের অপহরণের দীর্ঘকাল ধরে চলমান বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়াসহ টোকিওর পদক্ষেপের উপর নির্ভর করে দু’টি দেশ ‘একসাথে একটি নতুন ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে’।
তিনি আরো বলেন, ‘দুই দেশের ঘনিষ্ঠ না হওয়ার কোন কারণ থাকবে না এবং জাপানী প্রধানমন্ত্রীর পিয়ংইয়ং সফরের দিন আসতে পারে।’
জাপানে অপহরণ একটি শক্তিশালী এবং আবেগপ্রবন বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে।
উত্তর কোরিয়া ২০০২ সালে স্বীকার করেছিল, তারা ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে ১৩ জন জাপানি লোককে অপহরণ করতে এজেন্ট পাঠিয়েছিল। তাদের জাপানি ভাষা এবং রীতিনীতিতে তার গুপ্তচরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল।
তবে জাপানের সন্দেহ হচ্ছে, তাদের অনেক বেশি নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে।
গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এক বক্তৃতায় কিশিদা উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে ‘কোন শর্ত ছাড়াই’ দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং বলেছিলেন টোকিও অপহরণসহ সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে ইচ্ছুক।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি ২০০২ সালে পিয়ংইয়ংয়ে একটি যুগান্তকারী সফর করেছিলেন। তিনি কিমের বাবা কিম জং ইলের সাথে দেখা করেছিলেন এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি পথ নির্ধারণ করেছিলেন। যেখানে জাপান অর্থনৈতিক সহায়তা দেবে।
এই সফরের ফলে পাঁচজন জাপানি নাগরিক ফিরে আসে এবং কোইজুমি একটি ফলো-আপ ট্রিপ করে। কিন্তু কূটনীতি শীঘ্রই ভেঙ্গে পড়ে টোকিওর উদ্বেগের কারণে। কারণ, উত্তর কোরিয়া অপহরণের শিকারদের বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলছে না।