শিরোনাম
গাজা উপত্যকা, ফিলিস্তিনি অঞ্চল, ২৩ মার্চ, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক) : জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস শনিবার মিশরের গাজা সীমান্ত পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসরায়েল বলেছে তারা হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাফাহ শহরের কাছাকাছি সেনা পাঠাবে, এমনকী মার্কিন সমর্থন ছাড়াই। ইসরায়েলের এই বক্তব্যের পরেই জাতিসংঘ প্রধান এই সফরে যাচ্ছেন।
সফরের সময় গুতেরেস মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করার পরিকল্পনা করেছেন।
যদিও রাফাতে পরিকল্পিত স্থল আক্রমণ থেকে ইসরায়েলকে বিরত রাখার আন্তর্জাতিক চাপ এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। রাফাতে গাজার বেশীর ভাগ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
এই ধরনের আক্রমণ ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের কারণ হবে এবং ভূখন্ডের মানবিক সংকটকে আরও খারাপ করবে এমন সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাকে অবশ্যই হামলার সাথে এগিয়ে যেতে হবে।
সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে শুক্রবার নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে এটি করতে আশা করি, তবে যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা একাই এটা করব।’
প্রায় ছয় মাসের লড়াই থামানোর আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা বেড়েছে।
ক্রমবর্ধমান মরিয়া, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রিপোর্ট করছে
শুক্রবার পর্যন্ত গাজায় ৩২,০৭০ মানুষ নিহত হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন গাজা সমগ্র জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
মন্ত্রণালয় গতরাতে গাজা শহরের উত্তরে একটি বাড়িতে হামলায় ১০ জনসহ শনিবার সকাল পর্যন্ত আরও ৬৭ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে।
ফিলিস্তিনে উদ্বাস্তু সংক্রান্ত জাতিসংঘ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, ‘এটি একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় ব্যাপক খাদ্য ও জীবনরক্ষাকারী পণ্য সরবরাহ ছিল এর একমাত্র সমাধান।’
শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ব্যর্থ হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের আনা এ প্রস্তাবে অস্পষ্টতা এবং ইসরায়েলের পক্ষে একতরফা একটি দুর্বল প্রস্তাব হিসেবে রাশিয়া ও চীনের ভেটো প্রদানে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
এদিকে, সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে, বিশেষকরে গাজার সবচেয়ে বড় এলাকা ঘিরে হাসপাতাল কমপ্লেক্স আল-শিফা, যেখানে শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনী ১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা এবং শতাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের দাবি করেছে।