শিরোনাম
বেলম, ব্রাজিল, ২৭ মার্চ, ২০২৪ (বাসস/এএফপি): ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মঙ্গলবার তার সমকক্ষ লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা-এর সাথে এক বিলিয়ন ইউরোর ‘অ্যামাজনিয়ান গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট’ প্ল্যানের উদ্বোধনের মাধ্যমে ব্রাজিল সফর শুরু করেন।
আগামী বছর অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের প্রধান জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজক উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেলেমে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট সফর করেন। ফ্রান্সের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক দশকেরও বেশি সময় পর ম্যাক্রোঁ ব্রাজিল সফরে আসেন। নিকটবর্তী ফ্রেঞ্চ গায়ানাতে নামার পর ব্রাজিল ম্যাক্রোঁ ব্রাজিল সফরে আসেন।
কম্বুর জঙ্গল দ্বীপে লুলার সাথে তার হাসি এবং অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা লুলার অতি-ডান পূর্বসূরি জইর বলসোনারোর মেয়াদের পর থেকে সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র ফুটে ওঠে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট পরিবেশগত ধ্বংস নিয়ে ম্যাক্রোঁর সরকারের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন এবং এমনকি ফরাসি ফার্স্ট লেডি ব্রিজিট ম্যাক্রোঁকে অপমানও করেছিলেন।
আগামী বছরের কপ-৩০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে ফরাসি প্রেসিডেন্সি দ্বারা প্রকাশিত একটি রোডম্যাপ অনুসারে বিনিয়োগ পরিকল্পনার লক্ষ্য ‘আগামী চার বছরে ১ বিলিয়ন ইউরো (১.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সরকারী এবং বেসরকারী বিনিয়োগ’ বাড়ানো।
নেতৃবৃন্দ ব্রাজিলিয়ান এবং গুয়ানিজ অ্যামাজনে ‘জৈব অর্থনীতিতে একটি সরকারী এবং বেসরকারী বৈশ্বিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা’ প্রচার করতে চাইছেন। ঘোষণায় বলা হয়েছে, বিশেষ করে যখন ব্রাজিল ২০২৪ সালের জন্য জি-২০এর সভাপতিত্ব করছে। ফ্রান্স, বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতি, এবং ব্রাজিল, নবম বৃহত্তম, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা একটি ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রধান হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্যারিস ব্রাসিলিয়াকে বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতির সেতু হিসেবে দেখে। যাদের কণ্ঠস্বর ব্রাজিল তার জি-২০ এর সভাপতিত্ব এবং ব্রিকস+ গ্রুপের সদস্যপদের মাধ্যমে প্রসারিত করার চেষ্টা করছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আগে বলেছেন, ‘আমরা একটি ফ্রাঙ্কো-ব্রাজিলীয় মুহুর্তে বাস করছি।’ লুলার সাথে ‘অনেকগুলো অভিসারী পয়েন্ট’ হাইলাইট করেছি, বিশেষ করে ‘প্রধান বৈশ্বিক সমস্যাগুলো নিয়ে।’
ইউরোপের ব্রাজিলিয়ান কূটনীতি বিষয়ক প্রধান মারিয়া লুইসা এসকোরেল ডি মোরেস বলেছেন, ‘ব্রাজিলের পররাষ্ট্রনীতির জন্য ফ্রান্স একটি অপরিহার্য, অনিবার্য দেশ।
আমাজন প্রধান মঙ্গলবারের ঘোষণায় একটি ‘কার্বন বাজার’ তৈরির প্রস্তাব করেছে, যা অ্যামাজন রেইনফরেস্টের মতো প্রাকৃতিক কার্বন সিঙ্কে বিনিয়োগকারী দেশগুলোকে পুরস্কৃত করার উদ্দেশ্যে।
বিশ্বের বৃহত্তম গ্রীষ্মমন্ডলীয় বন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন শোষণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বলসোনারোর অধীনে একতরফাভাবে ২০২৩ সালে ব্রাজিলিয়ান আমাজনে বন বিনাশ অর্ধেক হয়ে যায়।