শিরোনাম
টোকিও, ২৭ মার্চ, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক) : কোলেস্টেরল কমানোর জন্য খাদ্য তালিকায় সাপ্লিমেন্টারি গ্রহণের কারণে জাপানে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য আতঙ্কের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু এবং ১শ’ জনেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সরকার বুধবার এ কথা বলেছে।
গ্রাহকদের কাছ থেকে কিডনি সংক্রান্ত অভিযোগের পর জাপানি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোবায়াশি ফার্মাসিউটিক্যালর ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা হয় এমন ওষুধ) ট্যাবলেটগুলো ফেরত নেওয়ার পরে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে।
কোম্পানি তিনটি সাপ্লিমেন্টারি ব্র্যান্ড -‘বেনি কোজি কোলেস্ট হেল্প’ এবং দু’টি অন্যান্য পণ্য - যাতে রেড ইস্ট রাইস বা ‘বেনি কোজি’ নামক একটি উপাদান রয়েছে।
মেডিকেল স্টাডিজ উচ্চ কোলেস্টেরল কমানোর জন্য স্ট্যাটিনের বিকল্প হিসাবে লাল খামির চাল বর্ণনা করে। তবে এর রাসায়নিক মেক-আপের ওপর নির্ভর করে অঙ্গের ক্ষতির ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করে।
সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সন্দেহজনক মৃত্যুর মোট সংখ্যা দুই’ এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ১০৬ জন।
সাপ্লিমেন্টারি প্রস্তুতকারক কোবায়াশি ফার্মাসিউটিক্যাল জাপানে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিপণন করা স্বাস্থ্য পণ্যের বিক্রির ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটিয়েছে।
ওসাকা-ভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, এটি জাপানের প্রায় ৫০টি ফার্মে এবং তাইওয়ানের দু’টি সংস্থাকে লাল খামির চাল সরবরাহ করেছে।
কোবায়াশি এএফপি’কে বলেছেন, শুক্রবার স্বেচ্ছায় প্রত্যাহার করা সম্পূরক গুলোর সাথে সম্পর্কিত দু’টি মৃত্যুর বিষয়ে তারা জেনেছে। তবে এ বিষয় মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কোবায়াশি ফার্মাসিউটিক্যাল প্রদত্ত বেনি কোজি ব্যবহার করে এমন কয়েক ডজন জাপানী সংস্থা আলাদাভাবে তা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ট্যাবলেট, সেই সাথে গোলাপী রঙের ঝকঝকে সেক, সালাদ ড্রেসিং, রুটি এবং মিসো পেস্ট যা অনেক ঐতিহ্যবাহী খাবারে ব্যবহৃত হয়।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেইজো তাকেমি বলেছেন, সরকার কোবায়াশি ফার্মাসিউটিক্যালকে পরিস্থিতি সম্পর্কে ‘তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য সরবরাহ করতে’ বলেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ও ‘স্বাস্থ্যের ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করার জন্য দেশব্যাপী স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে’।
ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মন্ত্রী বুধবার বলেন, লেনদেনে কোবায়শি ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ারের দাম কমেছে চার শতাংশ।
আগের দিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বলেছে, প্রথম যে ব্যক্তি মৃত বলে রিপোর্ট করেছেন তিনি প্রায় তিন বছর ধরে নিয়মিতভাবে প্রত্যাহার করা পণ্যগুলোর একটি কিনেছিলেন।
এর জন্য তারা ‘গভীরভাবে ক্ষমা’ চেয়েছেন এবং বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।