শিরোনাম
নাইরোবি, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক) : কেনিয়ায় মার্চ মাস থেকে মৌসুমী বৃষ্টি সৃষ্ট বন্যায় ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। সরকার শনিবার বাসিন্দাদের ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য প্রস্তুত থাকার সতর্ক করেছে। কেনিয়া ও এর পূর্ব-আফ্রিকান প্রতিবেশী দেশগুলি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর এএফপি’র।
সরকারি মুখপাত্র আইজ্যাক মাওয়ারা শনিবার বলেছেন, আকস্মিক বন্যায় রাস্তা ও আশেপাশের এলাকা তলিয়ে গেছে, যার ফলে ২৪ হাজার পরিবারের ১ লাখ ৩০ সহ¯্রাধিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাস্তুচ্যুতদের অনেকেই রাজধানী নাইরোবির বাসিন্দা। তিনি বলেন,“আমরা গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি যে গত ১২ ঘন্টায় অতিরিক্ত ছয়টি মর্মান্তিক প্রাণহানিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৭৬ জনে পৌঁছেছে।” এছাড়া, ২৯ জন আহত হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে ১৯ জন। রাজধানী নাইরোবিতেই ৩২ জনের প্রাণহানি ও ১৬ হাজার ৯০৯ টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মাওয়ারা বলেন, কেনিয়ার দীর্ঘতম নদী টানা বরাবর সেভেন ফোর্কস জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পাঁচটি বাঁধ পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই জলরাশি উঁপচে পড়ে ভাটিতে ভারী বণ্যা হওয়ার পূর্বাভাস থাকায়, এলাকার বাসিন্দাদের উঁচু যায়গায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে, প্রতিবেশী তানজানিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে অন্ততঃ ১৫৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জাতিসংঘ ও বুরুন্ডি সরকার এমাসে জানিয়েছে, পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশটির প্রায় ৯৬ হাজার মানুষ কয়েক মাস ধরে অবিরাম বৃষ্টির কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গত বছরের শেষের দিকে কেনিয়া, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ায় একদিকে বৃষ্টি ও বন্যায় ৩ শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়। অঞ্চলটিতে বিগত চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক খরা থেকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছিল এসময়ে। ওই খরা’য় লাখো লাখো মানুষ ক্ষুধার শিকার হয়।